Bangla News Dunia , Rajib : কালীপুজো মানেই বাজির উৎসব। এ দিন ছোট থেকে বড়, প্রায় সকলেই তারাবাতি, রংমশাল, চরকি, তুবড়ির মতো বাজি ফাটাবেন। সেই আলোয় কেটে যাবে অমাবস্যার অন্ধকার। মুখে ফুটবে হাসি। উৎসব মুখর হয়ে উঠবে বাংলা।
তবে মাথায় রাখতে হবে যে, বাজি ফাটানোর সময় অসাবধান হলেই হাত-পা পুড়ে যেতে পারে। আর এমন পরিস্থিতিতে পড়লে অনেকেই বুঝতে পারেন না ঠিক কী করা উচিত। সেই বিষয়টা নিয়েই নিজের মতামত দিলেন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা: রুদ্রজিৎ পাল। তাঁর কথায়, ‘সবার প্রথমে চেষ্টা করতে হবে বাজির থেকে দূরে থাকার। আর একান্তই যদি বাজি পোড়াতে হয়, সেক্ষেত্রে হালকা সুতির জামাকাপড় পরুন। সিন্থেটিক কিছু পরবেন না। আর চেষ্টা করুন হাত শরীর থেকে দূরে রেখে বাজি পোড়ানোর। তাতে বিপদের আশঙ্কা কমবে। তবে এর পরও যদি ত্বক পুড়ে যায়, সেক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে কয়েকটি নিয়ম।’
1. প্রথমেই ধুয়ে ফেলুন
বাজিতে হাত ও পায়ের কিছুটা অংশ পুড়ে গেলে বাড়িতেই তার চিকিৎসা করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে সবার প্রথমে জায়গাটা ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। চেষ্টা করুন কলের তলায় হাত রেখে জল দিয়ে জায়গাটা ধুয়ে নেওয়ার। তাতেই প্রাথমিক কাজ শেষ। এর পর সেই জায়গায় সিলভার নাইট্রেট জাতীয় অয়েন্টমেন্ট লাগান। এই মলমের সাহায্যে খুব সহজেই সমস্যাকে বাগে আনতে পারবেন।
আরো পড়ুন:- আয়ের প্রায় 65% দান করতেন তিনি, রতন টাটার জীবনের আরও অজানা তথ্য মুগ্ধ করবে আপনাকে
2. টুথ পেস্ট লাগাবেন না
অনেকেই কাটা জায়গায় টুথপেস্ট লাগান। আর এই ভুলটা করেন বলেই বিপদ বাড়ে। সেই জায়গাটায় ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই চেষ্টা করুন সেখানে টুথপেস্ট না লাগানোর। এমনকী সেখানে কোনও অ্যান্টিবায়োটিক মলমও লাগাবেন না। তাতেও সমস্যা হতে পারে। সেখান থেকেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই পুড়ে গেলে অবশ্যই এই বিষয়টি মাথায় রাখার চেষ্টা করুন।
3. মুখ পুড়ে গেলে চিকিৎসকের কাছে যান
ডা: রুদ্রজিৎ পালের কথায়, ‘কোনও ভাবে মুখের কোনও অংশ পুড়ে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যান। এক্ষেত্রে সোজা হিসাব হলো, একটা কাগজের নোটের থেকে বড় অংশ পুড়ে গেলেই ডাক্তার দেখাতে হবে। তখন আর সমস্যা ফেলে রাখবেন না। এর পাশাপাশি বাচ্চাদের শরীরের কোনও অংশ পুড়ে গেলেও চিকিৎসকের কাছে যান। তিনি যা নিদান দেবেন, মেনে চলুন। তা হলেই সমস্যাকে কাবু করে ফেলতে পারবেন।’
4. চোখের সমস্যা ফেলে রাখবেন না
অনেক সময় বাজির ফুলকি চোখে ঢুকে যায়। তখন চোখ দিয়ে অনবরত জল বেরয়। জয়াগাটা লাল হয়ে যায়। এমনকী দৃষ্টিশক্তিও কমে যেতে পারে। তাই এমন পরিস্থিতিতে সবার প্রথমে চোখে ঠান্ডা জল দিন। তার পর ঝট করে চলে যান হাসপাতালে। সেখানে ইমার্জেন্সিতে গিয়ে নিজের সমস্যার কথা বলুন। দ্রুত চিকিৎসা শুরু হলেই সমস্যার অনায়াসে সমাধান করতে পারবেন।
5. চিকিৎসা কী?
শরীরের অনেকটা অংশ পুড়ে গেলে প্রচুর পরিমাণে ফ্লুইড বেরিয়ে যায়। সেক্ষেত্রে সবার প্রথমে রোগীকে ভালো পরিমাণে স্যালাইন দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি তাঁকে পেইনকিলার এবং অ্যান্টিবায়োটিকও দেওয়া হয়ে থাকে। তাতেই ধীরে ধীরে রোগী ঠিক হয়ে ওঠেন।
তবে অনেকেই ভুল করে পোড়ার সমস্যা ফেলে রেখে দেন। তাতে বিপদ বাড়তে পারে। সংক্রমণ শরীরের একাধিক অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব সাবধান হয়ে যান।
এই রকম খবর পেতে দয়া করে আমাদের চ্যানেল ফলো করুন
https://twitter.com/daily_khabor/status/1851290770466357422
https://twitter.com/daily_khabor/status/1851290897495003493
https://twitter.com/daily_khabor/status/1851290163596702094
https://twitter.com/daily_khabor/status/1851289300165660760
https://twitter.com/kaushik94544429/status/1840973631305699595
আরো খবর দেখুন :- বিনা সুদে 5 লাখ টাকা লোন দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। কিভাবে আবেদন করবেন জেনে নিন
আরো খবর দেখুন :- জানেন ভারতের পূর্বনাম কি ছিল ? কিভাবে এল আর্যরা ? জানুন অজানা ইতিহাস
আরো খবর দেখুন : শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যাথার সমস্যায় ভুগছেন ? দ্রুত মুক্তি দেবে হোমিওপ্যাথি