Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : শীতে গাঁটের ব্যথা আরও বেড়ে যায়। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় হাঁটুর হাড় ফুলে যায়, ফলে ব্যথার উপশম পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তবে অসহ্য যন্ত্রণার সঙ্গে মোকাবিলা করার এমন কিছু উপায় রয়েছে, যেখানে ওষুধের দরকার লাগে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাত নির্দিষ্ট কোনো রোগ নয়, এটি বেশ কয়েকটি রোগের সমষ্টির বহির্প্রকাশ। জয়েন্ট গুলোতে হাড় এবং তরুণাস্থি আছে, সেগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ছিঁড়ে যেতে বা সরে যেতে পারে। বয়স বাড়ার সঙ্গেই এগোতে থাকে। এখন অবশ্য ২০-৪০ বছর বয়সিরাও বাতের শিকার। মূলত পায়ের উপরে বাতের নিশানা বেশি। দেখুন মুক্তির টিপস —–
১. শীত মানেই জবুথবু ভাবের প্রকোপ। সকালে উঠতে দেরি হওয়া বা শরীরচর্চায় ঘাটতি দেখা দেওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার এই সময়ে। ব্যায়াম শুরুর দিকে সামান্য ব্যথা অনুভূত হলেও নিয়মিত শরীরচর্চায় তা উধাও হয়ে যায়। শারীরিক কার্যকলাপে সক্রিয় থাকতে হবে।
২. রক্তের উষ্ণতা ব্যথা সহ্য করতে সাহায্য করে। শীতকালে বাতের রোগীদের শরীর গরম রাখতে হবে , হিট থেরাপিও কাজে লাগতে পারে।
৩. শরীরের ওজন কম হলে হাঁটু এবং নিতম্বের উপর চাপ কম থাকে। স্বাভাবিক ভাবে হাঁটুকে কম ওজন বহন করতে হলে জয়েন্ট গুলোতেও কম চাপ পড়বে।
৫. একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, চার সপ্তাহ ধরে প্রতি সপ্তাহে এক বার ম্যাসাজ করালে জয়েন্টের ব্যথার সমস্যা গুলি কমতে পারে। পেশি গুলিকে শিথিল করতে সাহায্য করতে পারে ম্যাসাজ। এটা যথেষ্ট উপকারী।
৬. শীতকালে প্রচুর পরিমাণে জল পান করা সবার জন্যই জরুরি। অনেকে মনে করে হাইড্রেটেড থাকার ধারণা শুধুমাত্র গ্রীষ্মকালে প্রযোজ্য। শীতকালেও শুষ্ক বাতাসের কারণে শরীরের অভ্যন্তরে বেশি তরল এবং আর্দ্রতার প্রয়োজন হয়। গরম চা বা এক বাটি স্যুপও সমান ভাবে সাহায্য করতে পারে। প্রতিদিন 8 গ্লাস জল পান করা ঠান্ডায় ব্যথা কমানোর সেরা প্রতিকার।
অস্থিসন্ধিতে মাত্রাতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড জমা হলে যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে বাত। প্রায় ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে পারিবারিক কারণে বাতে আক্রান্ত হওয়ার উদাহরণ পাওয়া গিয়েছে। ডায়াবেটিস, অত্যধিক ওজন বেড়ে যাওয়া, কিডনির রোগ, সিকল সেল অ্যানিমিয়া এবং বয়সবৃদ্ধির কারণে বাতের প্রকোপ বাড়তে পারে। মদ্যপানের ফলেও বাত হতে পারে। যে সমস্ত খাবার খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল