সদ্যোজাতকে কতক্ষণ অন্তর অন্তর খাওয়ানো উচিত?

By Bangla News Dunia Rajib

Published on:

ma khabar

Bangla News Dunia , Rajib : সন্তান জন্ম নেওয়ার পর মায়ের জীবনে আসে বিরাট পরিবর্তন। তখন তাঁর কাছে সবথেকে দামি উপহার হলো সন্তান। ছোট্টটির ভালোর জন্য তিনি সব করতে পারেন। এই সময় তিনি দিনরাত ভুলে, নিজের সব স্বার্থ ত্যাগ করে শুধু সন্তানের কথা চিন্তা করেন। যার ফলে তাঁদের মাথায় একাধিক প্রশ্নও করে ভিড়। আর তেমনই একটা প্রশ্ন হলো, সদ্যোজাত সন্তানকে ঠিক কতক্ষণ অন্তর খাওয়ানো উচিত? আর এই বিষয়টা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতেই আমরা যোগাযোগ করেছিলাম কলকাতা শহরের বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: খেয়া ঘোষ উত্তমের সঙ্গে।

তাই আর সময় নষ্ট না করে তাঁর মতামত জেনে নিন। আশা করছি, তাঁর অভিমত জানার পর আপনার মনের জিজ্ঞাসা দূর হবে। আপনি এই নিয়ম মেনেই সন্তানকে অনায়াসে খাওয়াতে পারবেন।

১ থেকে ২ মাস বয়সে

জন্মের প্রথম ২ মাস বাচ্চার ওজন খুব দ্রুত বাড়ে। এই সময় মাসে প্রায় ৯০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজন বাড়ে তাদের। তাই প্রথম ২ মাস তাকে খুব ঘন ঘন খাওয়াতে হবে। এক্ষেত্রে তার ওজন যদি স্বাভাবিক থাকে, তা হলে ২ থেকে ২.৫ ঘণ্টা অন্তর খাওয়াতেই পারেন। তাতেই সুস্থ থাকবে সন্তান। অপরদিকে বাচ্চা যদি সময়ের আগে জন্ম নেয় (প্রিটার্ম বেবি) বা তার ওজন যদি স্বাভাবিকের থেকে কম হয়, সেক্ষেত্রে তাকে ২ ঘণ্টা গ্যাপেই খাওয়াতে হবে। এই নিয়মটা মেনে চললেই তার ওজন বাড়বে দ্রুত গতিতে। সে সুস্থ থাকতে পারবে।

আরো পড়ুন:- আয়ের প্রায় 65% দান করতেন তিনি, রতন টাটার জীবনের আরও অজানা তথ্য মুগ্ধ করবে আপনাকে

২ মাস বয়সের পর সময় বাড়াতে হবে

বয়স ২ মাস পেরিয়ে গেলে ধীরে ধীরে বাচ্চাকে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা অন্তর খাওয়ানো শুরু করুন। এমনকী রাতের বেলায় তকে ৫-৬ ঘণ্টা অন্তরও খাওয়াতে পারেন। তাতে কিছু অসুবিধা নেই। তবে বাচ্চার ওজন যদি স্বাভাবিকের থেকে কম হয়, তা হলে তাকে অল্প সময়ের ব্যবধানেই খাওয়াতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তিনি ঠিক যত ক্ষণ অন্তর দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন, তা মেনে চলুন। তাতেই উপকার মিলবে।

ব্রেস্টমিল্কই শেষ কথা

বাচ্চার বয়স ৬ মাস হওয়া পর্যন্ত তাকে সম্পূর্ণ মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর কথা বললেন ডা: খেয়া ঘোষ উত্তম। তাঁর কথায়, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলে দিয়েছে বাচ্চার বয়স ৬ মাস না হলে তাকে মাতৃদুগ্ধ ছাড়া কিছুই খাওয়ানো যাবে না। এমনকী তাকে খাওয়ানো যাবে না জল। তবে ভারতের মতো দেশে এই নিয়মটা অনেকেই মানেন না। বেশির ভাগ মা মনে করেন যে তাদের ব্রেস্টমিল্ক পর্যাপ্ত পরিমাণে হচ্ছে না। ফলে তারা সন্তানকে পাওডার দুধ খাওয়ান। তাতে বাচ্চার পুষ্টির ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।’

৬ মাস পর গলা খাবার

শিশুর বয়স ৬ মাস পেরোলে তাকে চাল ও ডালের খিচুড়ি গলা গলা করে বানিয়ে খাওয়াতে পারেন। তাতেই তার শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মিটবে। ৭ থেকে ৮ মাস বয়সের পর তাকে মাছের ঝোল ও ভাত একটু চটকিয়ে খাওয়ান। তারও কিছু দিন পরে ডাল ও রুটি চটকে খাওয়ানো শুরু করে দিন। তবে ভুলেও মিক্সারে খাবার ঘুরিয়ে তাকে খাওয়াবেন না। এই ভুলটা করলে বাচ্চা চিবিয়ে খেতে শিখবে না। গিলেই খাবার খাবে।

আরো পড়ুন:- বেকার ছেলে মেয়ে সবাইকে প্রতিমাসে ৩০০০ টাকা দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার, কিভাবে ই শ্রম কার্ড অনলাইন আবেদন করবেন?

ব্রেস্ট মিল্ক চলুক

বাচ্চার ১ থেকে ১.৫ বছর বয়স পর্যন্ত তাকে অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি ব্রেস্ট মিল্কও খাওয়াতে পারেন। সেই সঙ্গে তাকে কৌটোর দুধও খাওয়ানো যায়। তাতেই সন্তানের শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মিটে যায়। তার থেকে দূরে থাকে একাধিক জটিল রোগ।

তবে আবারও বলব প্রতিটি বাচ্চা আলাদা। তাই আপনার সন্তানকে কী খাওয়াবেন আর কী খাওয়াবেন না, সেটা নিজের চিকিৎসকের থেকেই জেনে নিন। তার পর সেই নিয়ম মেনে চলুন।

এই রকম খবর পেতে দয়া করে আমাদের চ্যানেল ফলো করুন

আরো খবর দেখুন :- বিনা সুদে 5 লাখ টাকা লোন দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। কিভাবে আবেদন করবেন জেনে নিন

আরো খবর দেখুন :- জানেন ভারতের পূর্বনাম কি ছিল ? কিভাবে এল আর্যরা ? জানুন অজানা ইতিহাস

আরো খবর দেখুন : শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যাথার সমস্যায় ভুগছেন ? দ্রুত মুক্তি দেবে হোমিওপ্যাথি

Bangla News Dunia Rajib

মন্তব্য করুন