Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী :- বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৌলতে রাজ্যের সব ব্লক ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বাধ্যতামূলক সাপের কামড়ের ‘আরোগ্যসেতু’ মিলেছে। সাপে কাটা রোগীর প্রাণ বাঁচানোর মোক্ষম দাওয়াই থাকা সত্ত্বেও তথ্যর অভাবে তা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। প্রয়োজনের সময় অ্যান্টিভেনম পেতে কোথায়, কত দূর যেতে হবে, গ্রামের মানুষ তা জানতে পারেন না। এবার থেকে যাতে সহজে সেই সব তথ্য থাকে তাঁদের কাছে, তার সুরাহা মিলবে এই সপ্তাহে।
স্বাস্থ্যভবন, তথ্য প্রযুক্তি দপ্তর ও আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ‘পয়জন ইনফরমেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার’ একযোগে তৈরি করেছে একটি বিশেষ অ্যাপ। সাপে কামড়ের চিকিৎসার ক্ষেত্রে মুশকিল আসান হয়ে উঠতে পারে। মোবাইলে ডাউনলোড করলে তা জানিয়ে দেবে নিকটবর্তী কোন ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কতগুলি অ্যান্টিভেনম সিরাম মজুত রয়েছে। দংশনকারী সাপ সম্পর্কে রোগীর তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞরা বলে দেবেন, সাপটি বিষধর কি না। সেই মতো চিকিৎসা চলবে।
ভরা বর্ষার রাতে সাপের কামড়ে অসুস্থ রোগী মৃত্যুভয় নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে দৌড়ে বেড়াতে হবে না। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর কথায়, পাহাড় থেকে সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষের কাছে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা নিখরচায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নানাবিধ কাজ হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি বলছেন, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগী ভরতির ব্যবস্থা বা শয্যা আছে, ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বাধ্যতামূলক অন্তত একটি সাপে কাটার ওষুধ মজুত থাকে।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, রাজ্যের বিষধর রোগীর রক্ত সংগ্ৰহ করে টেস্ট টিউবে কুড়ি মিনিট পর যদি রক্ত তঞ্চন হয়, নেওয়া হয় সেটি নির্বিষ সাপ। সব ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই ব্যবস্থা চালু আছে।
” আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল “