Bangla News Dunia, সারদা দে :– বয়স ৪০ এর কোঠা পেরোলেই হাড়ের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অস্টিওপিনিয়া, অস্টিওপোরোসিস, অস্টিওআর্থ্রাইটিস এইসব অসুখের সাথে সাথে অস্থিসন্ধিতেও ক্ষয় দেখা দিতে পারে। অস্টিওপোরোসিস এমন একটি রোগ যার জন্য হাড়ের ঘনত্ব এবং গুণগতমান হ্রাস পায়, যা মেরুদণ্ড, নিতম্ব এবং কব্জির ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি বাড়ায়।
অস্টিওপোরোসিস একটি বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য সমস্যা যা বর্তমানে প্রায় তিনজন মহিলার মধ্যে একজন এবং পাঁচজন পুরুষের মধ্যে একজনকে প্রভাবিত করে এবং বিশ্বের জনসংখ্যা উভয়ই আকারে বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং দীর্ঘকাল বেঁচে থাকায় তা তাত্পর্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাড় ক্ষয়ের কোনও লক্ষণ থাকে না এবং প্রায়শই অস্টিওপরোসিস হওয়ার প্রথম চিহ্নটি হ’ল একটি ফ্র্যাকচার। এই সমস্ত কারণে অস্টিওপরোসিসকে প্রায়শই “নীরব মহামারী” হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
আরো পড়ুন :- বাতের সমস্যায় কষ্ট পাচ্ছেন ? মুক্তি পান ঘরোয়া উপায়ে
আমাদের শরীর 206টি হাড়ের সমন্বয়ে গঠিত যা আমাদের দেহকে একটি কাঠামো দেয়। পুরুষদের মধ্যে ৪০ বছর বয়সের পরে, হাড়ের স্বাস্থ্য সাধারণত অবনতি হতে শুরু করে যা আমরা অস্টিওপোরোসিস বা অস্টিওপেনিয়া বলে। অস্টিওপেনিয়া হাড়ের ক্ষয়ক্ষতির প্রথম পর্যায়ে এবং সময়মতো সংশোধন না করা হলে অস্টিওপোরোসিস হতে পারে।
ডিমিনালাইজেশন হ’ল যেখানে হাড় থেকে ক্যালসিয়াম হ্রাস শুরু হয় যার ফলে ভঙ্গুর এবং ভঙ্গুর হাড়গুলি সহজেই ভাঙ্গন সৃষ্টি করে। মহিলাদের ক্ষেত্রে, মেনোপজের পরে অর্থাৎ ৪৫ বছর বয়সের পরে ড্যামিনেরালাইজেশন দ্রুত হারে ঘটে সুতরাং মহিলাদের এই সময়ের আগে থেকেই হাড়ের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে বেশি করে। ক্যালসিয়াম, ফসফরাস সহ অন্যান্য খনিজগুলির মতো ভিটামিন ডি হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
হাড়ের সমস্যার প্রধান কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিটামিন ডি এর অভাব। আধুনিক জীবনযাত্রায় আমরা স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখার সময় কম পাই। তার উপরে টেনশন নিত্য সঙ্গী। সূর্যের আলো ভিটামিন ডির অন্যতম প্রধান উৎস । সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে শরীরচর্চা কিংবা মর্নিং ওয়াক এর সুযোগ পান না অনেকেই। কিন্তু সূর্যের আলোয় মর্নিং ওয়াক এবং ব্যায়াম দুটির হাড়ের স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। সূর্যের আলোয় পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন ডি থাকে যে হাড়কে শক্ত করে ,ক্ষয় প্রতিরোধ করে।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে এমনিতেই হাড়ের ক্ষয় দেখা দেয়। কিন্তু হালকা শরীরচর্চা এবং পরিমিত আহার শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি হাড়ের স্বাস্থ্যের খেয়ালও রাখে। দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। কিন্তু বয়স বেড়ে গেলে অনেকেই দুধ খেয়ে সহ্য করতে পারেন না। সেক্ষত্রে দই, ছানা কিংবা পনির ডায়েটে রাখা যেতে পারে। এছাড়া বেশি তেল মশলা দিয়ে খাবার কিংবা অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড শরীরের উপরে খারাপ প্রভাব ফেলে। তার পরিবর্তে বেশি করে সবুজ শাকসবজি ডায়েটে রাখুন। ক্যাফিন জাতীয় পানীয়,সফ্ট ড্রিংক ,অ্যালকোহল হাড়ের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং পরবর্তী জীবনে অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
আরো পড়ুন :- যোগেই হবে রোগ মুক্তি ! বিস্তারিত জানুন
Highlights
১. ৪০ এর পরে অনেকেই হাড়ের সমস্যায় ভোগেন।
২. ভিটামিন ডি ,ক্যালসিয়ামের অভাবের জন্যই মূলত হাড়ের ক্ষয় দেখা দেয়।
৩. সঠিক ডায়েট এবং শরীরচর্চায় হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে
#bone | #Osteoporosis | #vitamin d