Bangla News Dunia, দীনেশ : শপথের অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে না পারলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেখা করতে পারেন শীঘ্রই। একটি সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটনে মোদি-ট্রাম্প বৈঠকের ব্যাপারে জোরালো চেষ্টা করছে ভারত-মার্কিন উভয় দেশের কূটনৈতিক মহল। চিনকে ঠেকাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবথেকে নির্ভরযোগ্য রণকৌশলগত সঙ্গী হল ভারত। কিন্তু ট্রাম্প এসেই যেভাবে অবৈধভাবে মার্কিন দেশে বসবাসকারী অভিবাসীদের ভারতে ফেরানোর কথা বলেছেন, তাতে চিন্তিত নয়াদিল্লি। কারণ, বহু সংখ্যক ভারতীয় অভিবাসী সেদেশে বাস করছে। পাশাপাশি মার্কিন মুলুকে জন্মালেই যে সেদেশের নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে না বলে ট্রাম্প যে নির্দেশে সই করেছেন, তাতেও বিপাকে পড়েছে বহু ভারতীয়। এই পরিস্থিতিতে মোদি-ট্রাম্প বৈঠকে মেঘ কাটতে পারে বলে আশাবাদী সাউথ ব্লক। শুধু ভারতীয়দের নিয়েই নয়, ওই বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গেও কথা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
আরো পড়ুন :- নকল সূর্য বানিয়ে চমকাল চিন
সোমবার ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। শপথের পর সদ্যনিযুক্ত মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিও এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই মোদি-ট্রাম্প সাক্ষাৎ নিয়ে কথা হয়। ভিসানীতি, শুল্কনীতি সহ দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক নানাবিধ ইস্যুর পাশাপাশি বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন জয়শংকর। তবে বাংলাদেশ নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে সেই সম্পর্কে কিছু খোলসা করেননি তিনি।
আরো পড়ুন :- ৫,০০০ টাকায় ব্যবসা শুরু করুন, মাসে আয় ৫০,০০০ টাকা ! দেখুন স্বল্প বিনিয়োগের ৫টি ব্যবসা
কূটনৈতিক সূত্রের খবর, অন্যান্য বিষয়ের মতো বাংলাদেশ নীতিতেও বড়সড়ো পরিবর্তন ঘটাতে পারেন ট্রাম্প। নির্বাচন চলাকালীন বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়নের ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছিলেন ট্রাম্প। হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে কলকাঠি নাড়া কূটনীতিকদেরও বিদেশমন্ত্রক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতের কাছে বাংলাদেশ এখন অন্যতম প্রধান ইস্যু। তাই ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম বৈঠকেই বাংলাদেশ সমস্যার সমাধানের ছক তৈরি করে নিতে চান মোদি। হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্য তৈরিতে ব্যস্ত। পাকিস্তানের অঙ্গুলিহেলনেই বাংলাদেশের ভারত-বিদ্বেষ ক্রমাগত চড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের পশ্চিম সীমান্তের পাশাপাশি পূর্ব সীমান্তও উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। একইসঙ্গে ইউনূস সরকার যেভাবে চিনের দোসরে পরিণত হচ্ছে, সেটাও ভালো চোখে নিচ্ছে না ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই অবস্থায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান, চিন অক্ষকে সামলাতে যে নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন ঘনিষ্ঠতা সবথেকে জরুরি, সেটাই মোদি-ট্রাম্প বৈঠকে প্রাধান্য পেতে চলেছে।
আরো পড়ুন :- ঝাঁ চকচকে সেলুনে ঢুকে পড়লো একটা গরু, তারপর যা ঘটলো জানলে মজা পাবেন আপনি
আরো পড়ুন :- স্টেট ব্যাঙ্ক সবার অ্যাকাউন্ট থেকে ২৩৬ টাকা কেটে নিচ্ছে, জানুন কেন কাটা হচ্ছে এই টাকা ?