উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশ ইসলামী চরমপন্থার দিকে হাঁটবে না। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশের তদারকি সরকারের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। তাঁর দাবি, ধর্মের ব্যাপারে বাংলাদেশের (Bangladesh) তরুণরা খুবই পক্ষপাতহীন।
সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেন, ‘আমরা আনন্দিত, অত্যন্ত গর্বিত। সত্যিকারের অর্থেই আমরা বড় একটা পরিবর্তন ঘটিয়েছি। ছাত্রদের কারণেই অভ্যুত্থান ঘটেছে। তখন থেকে আমরা বলছি একটা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।’ ইউনূসকে চরমপন্থার ঝুঁকি নিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি সাফ জানান, বাংলাদেশে এমন কিছু ঘটতে যাচ্ছে না। দেশের তরুণরা খুবই উদ্যমী। ধর্মের বিষয়ে তাঁরা খুবই পক্ষপাতহীন। এই তরুণরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চান।
আরো পড়ুন :- মেয়েদের ‘ফুলের মতো’ বললেন খামেনেই ! হিজাব বিতর্কের মাঝে অন্য ছবি ইরানে?
তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা তরুণদের উপর মনোযোগ দিই, বিশেষ করে তরুণীদের উপর। বাংলাদেশের অভ্যত্থানে তরুণীরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। দেশের যেকোন তরুণের মতো তাঁরা সামনের সারিতে ছিলেন। আমাদের তরুণ-তরুণীদের ওপর মনোযোগ দেওয়া উচিত। তাঁদের স্বপ্নগুলো যেন পূরণ হয় তা নিশ্চিত করা উচিত।’ তবে ইউনূস জানিয়েছেন, তিনি প্যারিসে তাঁর কাজ উপভোগ করছিলেন, তাঁকে সেখান থেকে জোর করে সরিয়ে আনা হয়েছে। তাতে ফিরে যেতে পারলে খুশি হবেন।
আরো পড়ুন :- মহাকাশে সামরিক ঘাঁটি গড়বে ভারত, শূন্যে টহল দেবে সেনা
তবে ইউনূসের দাবি ও বাস্তব বহুলাংশে আলাদা বলেই মনে করা হচ্ছে। ভারতের সংসদে সম্প্রতি তথ্য দিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে পাকিস্তান থেকেও বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা অনেকটাই বেশি। পাকিস্তানে ২০২৪ সালে ১১২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেখানে বাংলাদেশে এই ধরনের ঘটনার সংখ্যা ২২০০টি। প্রতিনিয়ত সেখানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ধর্মস্থানে হামলার ঘটনা ঘটছে, আক্রান্ত হচ্ছেন সংখ্যালঘু মানুষ। ভারতের তরফে এনিয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকারকে বার্তা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির বদল ঘটছে না।
আরো পড়ুন :- কল্যাণী AIIMS কর্মী নিয়োগ হচ্ছে, মাসিক বেতন ৩০ হাজার টাকা