Bangla News Dunia, সারদা দে :- করোনায় মৃত্যু হলো ভারতীয় বংশোভূত প্রবাসী ডাক্তার গীতা রামজির। ভারতীয় সময় মঙ্গলবারে তিনি মারা যান। তিনি ছিলেন বিশ্বের বিখ্যাত ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞ এবং ভাইরোলজিস্ট অর্থাৎ যিনি ভাইরাস আক্রমণে হওয়া রোগের চিকিৎসা করেন। দক্ষিন আফ্রিকার বাসিন্দা গীতা ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকা রিসার্চ কাউন্সিলের অধীনে এইচ আই ভি প্রতিরোধ গবেষণা ইউনিটের ক্লিনিকাল ট্রায়াল ইউনিটের প্রধান অধ্যক্ষা ও ইউনিট পরিচালনার দায়িত্বেও ছিলেন । ২০১৮ সালে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে তাকে সেরা মহিলা বিজ্ঞানীর পুরস্কার প্রদান করা হয়েছিল। ইউরোপীয় ক্লিনিকাল ট্রায়ালস এর পক্ষ থেকে লাইফটাইম অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় তার সারাজীবন ধরে নতুন ভাবে এইচ আই ভির প্রতিরোধের নতুন পদ্ধতি খুঁজে বের করার জন্য, যাতে আফ্রিকার মহিলারা উপকৃত হয়।
[ আরো পড়ুন :- ইরান ফেরত ভারতীয়দের শরীরে মিলল করোনা ]
এক সপ্তাহ আগেই লন্ডন থেকে জোবার্গে ফিরেছিলেন গীতা। সেখান থেকে ফিরে বেশ কয়েকজন করোনা আক্রান্তের চিকিৎসাও করেছিলেন তিনি। প্রাথমিকভাবে তার মধ্যে করোনার কোনো লক্ষন না থাকলেও পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত এই করোনাই তার প্রাণ কেড়ে নিলো। গীতার স্বামী ফার্মাসিস্ট প্রবীণ রামজি তার স্ত্রীয়ের শেষকৃত্যের ব্যাপারে এখনো কিছু জানাননি। কারণ সব দেশের মতো ওই দেশেও এখনো ২১ দিনের লক ডাউন চলছে। তবে শেষকৃত্যের জন্য ওখানকার প্রশাসনের সাথে কথা বলেছে বিজ্ঞানীর পরিবার । বুধবার সকাল পর্যন্ত জানা গেছে যে ওনার মৃতদেহ জো বার্গের হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এসএএমআরসির সভাপতি এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গ্লেন্ডা গ্লে তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি বলেছেন যে অধ্যাপক গীতা রামজি হলেন এইচ আই ভি প্রতিরোধ গবেষণার শীর্ষ নেত্রী যার কাজ ছিল এইচ আই ভি প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী প্রতিরোধ প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখা
[ আরো পড়ুন :- করোনায় মৃত্যু বাংলাদেশী সাংবাদিকের ]
দক্ষিণ আফ্রিকায় এখনো পর্যন্ত করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ১৩২৬ এবং এই রোগে মারা গেছে ৫ জন। ঐখানে তিনি একমাত্র ভারতীয় ছিলেন যিনি করোনায় মারা গেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার ঘোষণা করেছে যে তারা সবার ঘরে ঘরে গিয়ে করোনা পরীক্ষা চালানোর ব্যবস্থা করবে এবং সবাইকে সতর্ক করবে যাতে তারা লক ডাউনের সিদ্ধান্তকে অমান্য না করে।