Bangla News Dunia, শারদীয়া রায় :- করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যে রমরমা ব্যবসা করছে ভেজাল ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি । এমনি সতর্কতা যাওয়া গেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এর কাছ থেকে। এমনকি এই সব ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়েও সাবধান করে দিয়েছে তারা। মানহীন এবং ভেজাল এইসব ওষুধ সেবনে আর এক মহামারী দেখা দিতে পারে বলে আশংকা বিশেষজ্ঞদের । বিবিসির এক অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনে দেখতে পাওয়া গেছে যে আফ্রিকায় এইরকম ভুয়ো ওষুধ বিক্রির প্রমান আছে।
[ আরো পড়ুন :- সিঙ্কোনা চাষ করে করোনা প্রতিরোধ ! ]
নোভেল করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বিশ্বের দুই প্রধান ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা চীন এবং ভারতে বর্তমানে লক ডাউন চলছে। ফলে চাহিদা অনুযায়ী যোগানের ঘাটতি থাকায় বিপজ্জনকভাবে ভেজাল ওষুধের উৎপাদন বেড়েছে। বিশ্বে বছরে ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে ব্যবসা হয় এক ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি। মূলত চীন এবং ভারত থেকে বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশে এই সব ওষুধ রপ্তানি করা হয়। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এই সাপ্লাই চেন ভাঙতে শুরু করেছে। লক ডাউনে ওষুধের উৎপাদন কমে আসাটাই সমস্যার সৃষ্টি করে নি ,বিশ্বজুড়ে মানুষের ওষুধ মজুত রাখার প্রবণতাও এই সংকট আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনা প্রতিরোধে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের কার্যকারিতার কথা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন এবং ভারতের কাছে এই ওষুধ রপ্তানির দাবিও করেছিলেন। এরপর এই ওষুধের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো এবং ক্যামেরুনে ভুয়ো ক্লোরোকুইনিন বিপুল সংখ্যায় বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে, যার প্রমান পেয়েছে বিবিসি। গত মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা ভাইরাসকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণার সপ্তাহেই মাত্র ৭ দিনে ৯০ টি দেশ থেকে ১ কোটি ডলার মূল্যের ভেজাল ওষুধ এবং ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য জব্দ এবং ১২১ জনকে গ্রেপ্তার করে ইন্টারপোলে বৈশ্বিক ফার্মাসিউটিক্যাল অপরাধ দমন ইউনিট।