Bangla News Dunia, দীনেশ : আমেরিকার রাষ্ট্রপতি পদে বসেই বড় ধাক্কা খেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শপথ নিয়েই এক নির্বাহী আদেশনামা জারি করে জন্মগতভাবে আমেরিকার নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ বন্ধ করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করে ডেমোক্র্যাটদের নেতৃত্বাধীন ২২ টি প্রদেশ। এবার আদালত সরাসরি জানিয়েদিল কোনও ভাবেই নাগরিকত্ব পাওয়ার এই নীতি বদল করা যাবে না। জন্মগতভাবে নাগরিকত্ব পাওয়ার যে নীতি তা বদলের নির্দেশিকা খারিজ করেছেন আমেরিকার ফেডারেল জাজ। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক বলেও জানিয়েছেন তিনি। আর আদালতের এই নির্দেশিকা ট্রাম্পের জন্য প্রথমেই বড় ধাক্কা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন:– হাওড়ার রাবার পার্কে দেড় হাজার কোটি টাকার লগ্নির আশা, হবে ১০০০০ কর্মসংস্থান
যদিও ট্রাম্প প্রথম থেকেই অভিবাসন নীতিতে বদল এনে জন্মগত ভাবে নাগরিকত্বের বিরোধীতা করলেও তা কতদূর কার্যকর করা যাবে তা নিয়ে সংশয় ছিল। ১৫৬ বছরের আইনকে কীভাবে রাতারাতি বদলে দেওয়া যায় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আমেরিকার সংবিধান বিশেষজ্ঞরা। এই আদেশের বিরোধীতায় আদালতের দ্বারস্থ হয় ডেমোক্রাট শাসিত প্রদেশগুলো। সেই আবেদনকে মান্যতা দিয়েই বিচারক সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছেন ট্রাম্পের এই নির্দেশে। ফলে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে এই নতুন নিয়ম চালু করতে পারবে না ট্রাম্প প্রশাসন। আদালতের আদেশে স্বস্তি পেয়েছেন বহু অভিবাসী।
আরও পড়ুন:– বিপাকে দিঘার ২৪টি হোটেল, বাসি খাবার বিক্রি, ধরা পড়ল আরও অনেক কিছুই
ট্রাম্প তাঁর ঘোষণায় বলেছিলেন, শুধু আমেরিকায় জন্মালেই নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে না। শিশু মা কিংবা বাবাকে মার্কিন নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। তবেই নবজাতক আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবে। অন্যদিকে বিরোধীরা হাতিয়ার করে মার্কিন সংবিধানের ১৪ তম সংশোধনীকে। যাতে বলা রয়েছে, যে কেউ আমেরিকায় জন্মালে, সে মার্কিন নাগরিক। এ দিন বিচারপতি ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়ে বলেন, এটা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক নির্দেশ।
আরও পড়ুন:– কপিল শর্মা, রাজপাল যাদব-সহ ৪ তারকাকে প্রাণে মারার হুমকি, পাকিস্তান থেকে ই-মেল
আরও পড়ুন:– লক্ষ্মীবারে লক্ষ্মীলাভ এই দুই IT কোম্পানির, কেন এক লাফে এতটা বাড়ল শেয়ার দর ?