Bangla News Dunia, দীনেশ : অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে (Ceasefire) সম্মত হয়েছে হামাস ও ইজরায়েল (Israel-Hamas)। সেই মতো রবিবারই ৩ পণবন্দিকে ইজরায়েলের হাতে তুলে দিয়েছে হামাস (Israel Hostages)। তবে মুক্তির সময় হামাস পণবন্দিদের খালি হাতে ফেরায়নি। বরং মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের হাতে তুলে দিয়েছে ‘উপহারের ব্যাগ’ (Gift bag)।
রবিবার তিন মহিলা পণবন্দি রোমি গোনেন, দোরোন স্টেইনব্রিচার ও এমিলি দামারিকে রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় হামাস। তারপর রেড ক্রসের তরফে ওই পণবন্দিদের ইজরায়েলের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই সময় তেল আভিভে প্রতিরক্ষা দপ্তরের বাইরে লাইভ সম্প্রচার করা হয়। তখনই পণবন্দিদের হাতে একটি করে উপহারের ব্যাগ নজরে আসে। তারপরই সাধারণ মানুষের মনে স্বাভাবিকভাবেই কৌতূহল তৈরি হয়েছে যে ওই ব্যাগে কী রয়েছে?
আরও পড়ুন:– মহিলাদের প্রতিমাসে 32 হাজার টাকা দিচ্ছে কেন্দ্র। চালু হল নতুন প্রকল্প। টাকা পেতে হলে কী করতে হবে?
সূত্রের খবর, ওই উপহারের ব্যাগে গাজার একটি ছবি, বন্দিদশায় থাকাকালীন অবস্থায় তাঁদের ছবি এবং একটি শংসাপত্র ছিল। মুক্তি দেওয়ার আগে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পণবন্দিদের হাতে উপহারের ব্যাগ তুলে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের একটি বড় অংশ এই উপহার দেওয়ার বিষয়টির কড়া নিন্দা করেছেন। এটিকে হামাসের ‘নিষ্ঠুরতার নতুন সংজ্ঞা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন অনেকে। একাধিক ভিডিওতে ওই পণবন্দিদের উপহারের ব্যাগ হাতে মুক্তির আগে হাসতে দেখা গিয়েছে। তবে ইজরায়েলের সংবাদমাধ্যমের দাবি, হাসিমুখে উপহারের ব্যাগ হাতে ছবি তুলতে রাজি ছিলেন না পণবন্দিরা। তাঁদের উপহার নিতে এবং ছবি তুলতে একপ্রকার বাধ্য করা হয়েছে বলে দাবি।
আরও পড়ুন:– রহস্যের জট খুলতে কাশ্মীরের গ্রামে এবার কেন্দ্রীয় দল, জানতে বিস্তারিত পড়ুন
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হয় ইজরায়েল-হামাস সংঘাত। তারপর থেকে যুদ্ধবিরতির জন্য লাগাতার মধ্যস্থতা করছিল আমেরিকা, কাতার, মিশর, সৌদি আরবের মতো একাধিক দেশ। কিন্তু লাভ হচ্ছিল না। অবশেষে গত বুধবার রাতে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হয়েছে ইজরায়েল এবং হামাস। চুক্তি অনুযায়ী তিনজনকে মুক্তির পর ধাপে ধাপে আরও ৩০ জন বন্দিকে ইজরায়েলের হাতে তুলে দেবে হামাস। অন্যদিকে ইজরায়েলে জেলবন্দি থাকা ৯০ জন প্যালেস্তিনীয়কেও মুক্তি দিয়েছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার।
আরও পড়ুন:– কলকাতা CNCI ইনস্টিটিউটে কর্মী নিয়োগ চলছে! কিভাবে আবেদন করবেন দেখুন বিস্তারিত