Bangla News Dunia, দীনেশ :- কাগজে-কলমে পানামার নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু পানামা খাল (Panama) ও তার আশপাশের এলাকাগুলি আদতে চিনের (China) দখলে রয়েছে। পানামার সঙ্গে শি জিনপিংয়ের দেশ এমন সব চুক্তি করেছে যার জেরে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার সংযোগকারী খালে পণ্য চলাচলের ওপরও প্রভাব খাটাতে শুরু করেছে তারা। পানামা সফরে গিয়ে এমনটাই অভিযোগ করেছেন আমেরিকার বিদেশসচিক মার্কো রুবিও।
আরও পড়ুন:– কোনও অনুশোচনা নেই, চুম্বন বিতর্কে আর কী বললেন উদিত নারায়ণ?
বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম বিদেশসফরে শনিবার পানামার মাটিতে পা রেখেছেন রুবিও। রবিবার তিনি সেদেশের প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনোর সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রুবিও জানান, পানামা খাল ও সংলগ্ন এলাকাগুলিকে চিনের প্রভাবমুক্ত করতে পানামার শীর্ষনেতাকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। আমেরিকার উদ্বেগকে গুরুত্ব না দিলে পানামা খাল অধিগ্রহণের পথ খোলা রয়েছে বলেও ইঙ্গিত করেছেন বিদেশসচিব। একই সঙ্গে খাল দখলের জন্য পানামাকে বলপ্রয়োগের হুমকি দেওয়ার কথাও অস্বীকার করেন তিনি। রুবিওর কথায়, ‘১৯৯৯-এ পানামা খাল হস্তান্তরের সময় আমেরিকা এই এলাকায় চিনের প্রভাব বৃদ্ধি নিয়ে পানামাকে সতর্ক করেছিল। অর্থাৎ, খালের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার দায়িত্ব পানামার। এখানে চিনের প্রভাব প্রতিষ্ঠা অগ্রহণযোগ্য। পরিস্থিতির পরিবর্তন না ঘটলে আমেরিকাকে নিজের অধিকার রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে।’
আরও পড়ুন:– আশ্চর্য বিজ্ঞান, সন্তানের জন্ম দিল ২ পুরুষ, কিভাবে ?
মার্কিন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুচ বলেন, ‘চিন নিয়ন্ত্রিত হংকংয়ের একটি সংস্থা পানামা খালের প্রবেশপথে অবস্থিত ২টি বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে। এই ধরনের স্থিতাবস্থা গ্রহণযোগ্য নয়। পরিস্থিতির দ্রুত বদল না ঘটলে চুক্তি অনুযায়ী আমেরিকাকে নিজের অধিকার রক্ষার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।’ রুবিওর সফরের পর পানামা ও চিনের মধ্যে হওয়া চুক্তিগুলি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মুলিনো। পানামা থেকে আমেরিকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে পদক্ষেপের কথা বলেছেন। সমান্তরালে পানামা খাল আমেরিকাকে হস্তান্তরের ব্যাপারে ট্রাম্প বা কোনও মার্কিন প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না বলেও ঘোষণা করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন:– আরও বড় বিপর্যয়ের অপেক্ষায় কলকাতা? জানতে বিস্তারিত পড়ুন