জঙ্গী ক্রিয়াকলাপে যুক্ত, গ্রেনেড হামলায় দোষী বিএনপি নেতা মুক্ত !

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

bangladesh

 

Bangla News Dunia, দীনেশ :- বিভিন্ন অপরাধে আওয়ামি লিগ সরকারের আমলে ধৃতদের সাজা মকুব ও জামিনের হিড়িক পড়েছে। সেই ধারা মেনে মঙ্গলবার জেল থেকে ছাড়া পেলেন বিএনপি (BNP) নেতা আবদুস সালাম পিন্টু। শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলায় অভিযুক্ত পিন্টু গত ১৭ বছর ধরে জেলে ছিলেন। তাঁর ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। বাংলাদেশে (Bangladesh) পালাবদলের পর তাঁকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করে হাইকোর্ট। সেই মতো এদিন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন পিন্টু। তাঁকে স্বাগত জানাতে জেলের বাইরে ভিড় জমিয়েছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। নেতার মুক্তির আনন্দে এলাকায় মিষ্টি বিরতণ করেন তাঁরা।

অতীতে আওয়ামি লিগের পাশাপাশি ভারতের বিরুদ্ধেও বিষোদ্গার করে সংবাদমাধ্যমের নজর কেড়েছেন পিন্টু। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১-এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ আসন থেকে বিএনপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। ২০০১-এ বাংলাদেশের শিক্ষা উপমন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০০৮-এ গ্রেনেড হামলার ঘটনায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তখন থেকে জেলেই ছিলেন। তাঁর মুক্তি বাংলাদেশে মৌলবাদীদের বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল।

আরো পড়ুন :- ‘বাংলাদেশের চিঠি পেয়েছি’, জানুন হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে কী বলল কেন্দ্র ?

এদিকে হত্যা, গুম, গণআন্দোলন দমনের চেষ্টা সহ একগুচ্ছ অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রায় ৫০০ মামলা দায়ের হয়েছে বাংলাদেশে। ভারতে আশ্রয় নেওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবিউনালে। তাঁকে দেশে ফেরাতে ভারতকে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এবার তাঁর বিরুদ্ধে ২১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তদন্তে নেমেছে সেদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার হাসিনার আমলে হওয়া বেশ কয়েকটি প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছে তারা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রায় সবকটি প্রকল্প বঙ্গবন্ধুর নামাঙ্কিত অথবা ভারতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

আরো পড়ুন :- পাকিস্তান থেকে জাহাজ ভর্তি পণ্য পৌঁছাল বাংলাদেশে, জানুন কী কী আমদানি করা হল ?

তদন্তকারী সংস্থার প্রধান আখতারুল ইসলাম জানিয়েছেন, মোট ৮টি প্রকল্প সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হয়েছে। এগুলি হল, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প, আশ্রয়ণ প্রকল্প–২, মিরসরাই বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের জল শোধনাগার ও গভীর নলকূপ স্থাপন, মিরসরাইয়ে ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর উন্নয়ন প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে দুটি মডার্ন ফায়ার স্টেশন প্রকল্প। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলির প্রস্তাব, পরিকল্পনা, বাজেট অনুমোদন, বরাদ্দ, অগ্রগতি, বর্তমান অবস্থা সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছে দুদক।

আরো পড়ুন :- ‘আমি যতদিন সভাপতি ছিলাম, পার্টি হু হু করে বেড়েছে’ কাকে ইঙ্গিত করে এমন বললেন দিলীপ ঘোষ ?

রবিবার হাসিনা ও তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ৩০ কোটি মার্কিন ডলার বিদেশে পাচারের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। তারপরেই প্রকল্প দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের সক্রিয়তা হাসিনার ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাসিনা-পুত্র জয়। সামাজিক মাধ্যমে করা একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবিউনালের মাধ্যমে একটি প্রহসনমূলক বিচারপ্রক্রিয়া পরিচালনা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে গিয়ে ন্যায়বিচার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।’

 

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন