Bangla News Dunia, Pallab : ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। গত বছর আগস্ট মাসের সেই বিভীষিকাময় ভয়ংকর রূপ যেন আরও একবার দেখতে পাচ্ছে ওপার বাংলাবাসী। বিগত দু’দিন ধরে লাগাতার টার্গেট শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগ। প্রাক্তন মন্ত্রী থেকে সাংসদ, নেতা, হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না কেউ। রেহাই যায়নি বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের ধানমন্ডির বাড়ি। বিক্ষোভকারীরা গণভবনের কায়দায় হামলা চালায় বাড়িতে।
অশান্ত বাংলাদেশ
বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদ সংস্থা প্রথম আলো সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’দিনে আওয়ামি লিগের প্রাক্তন মন্ত্রী, সাংসদ ও নেতাদের মোট ১৩টি বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। শেখ হাসিনার দলের সাতটি পার্টি অফিসেও ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। শেখ মুজিবর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৫০টি ম্যুরাল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এক ভয়ংকর যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আর এই আবহে এবার বাংলাদেশের মাথা থেকে সমস্ত রকম সাহায্যের হাত গোটাতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছে ট্রাম্পের প্রশাসন!
সম্প্রতি নির্বাচনের মাধ্যমে ফের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নব নির্বাচিত হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর পদে বসতেই ক্ষমতা যাচাই করতে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়েই চলেছেন তিনি। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের জন্য অনুদান দেওয়া বন্ধ করেছে আমেরিকা। বাংলাদেশ-সহ বিভিন্ন দেশে আমেরিকার অনুদানে যে সব প্রকল্প চলছিল, সেগুলি সব বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইজরায়েল এবং মিশর ছাড়া সব দেশের জন্যই আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছে ট্রাম্পের প্রশাসন। সেইমতো বাংলাদেশে তাদের সব উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ বন্ধের নির্দেশিকা জারি করে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বা USAID। কিন্তু এবার ট্রাম্প নিল আরও এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
বাংলাদেশ থেকে ফিরে এল ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি কর্মকর্তারা
জানা গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশমতো এবার ঢাকা ছাড়ছে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের কর্মকর্তারা। সংবাদ সংস্থা প্রথম আলো সূত্রে জন্য গিয়েছে, ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের দেড়শোর বেশি আধিকারিক গতকাল ওয়াশিংটনের ফ্লাইট ধরে ঢাকা ছেড়ে চলে গেছেন। বলা হয়েছে আজকের মধ্যে ওয়াশিংটনে রিপোর্ট দিতে হবে তাঁদের। কিন্তু কেন বাংলাদেশের জন্য সব ধরনের মার্কিন সাহায্য বন্ধ করা হয়েছে তার উত্তর এখনও পর্যন্ত কিছুই স্পষ্ট করা হয়নি।