Bangla News Dunia,শারদীয়া রায়: – ট্রাম্প বিরোধিতায় ফুঁসছে গোটা আমেরিকা। শ্বেতাঙ্গ মার্কিন পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড খুনের ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে সমগ্র আমেরিকার জনতা। বিক্ষোভের আঁচ এ বার এসে পড়ল গির্জাতেও। রবিবার রাতে বিক্ষুব্ধ জনতার একাংশ হোয়াইট হাউস লাগোয়া সেন্ট জন্স গির্জার বেসমেন্ট এবং নার্সারির একাংশ পুড়িয়ে দিলো । সূত্রের খবর, উত্তাল জনতার ক্ষোভ থেকে বাঁচার জন্য শুক্রবার রাতে বেসমেন্ট-বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট । জনতার এই বিক্ষোভ দমন করতে স্থানীয় প্রশাসন ব্যর্থ হলে হাজার হাজার সশস্ত্র সেনা নামানোর হুমকি দিয়েছে হোয়াইট হাউস। তবে বিক্ষোভকারীদের বেপরোয়া মনোভাব বর্তমানে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের কাছে ।
১৯৬৮-তে মার্টিন লুথার কিংয়ের হত্যা-পরবর্তী অশান্তির পরে এমন বিক্ষোভ আর দেখেনি আমেরিকা। এখন এই বিক্ষোভের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে বর্ণবিদ্বেষের যে আগুনটা বহু বছর থেকে জ্বলছিল তাতে ঘৃতাহুতির কাজ করেছে করোনায় বঞ্চনা। সম্প্রতি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার এক ভাষণে ইঙ্গিত দিয়েছেন ভাইরাস-যুদ্ধেও কৃষ্ণাঙ্গরা বঞ্চনার শিকার। এর উপরে করোনার ফলে প্রতিদিন বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে আমেরিকায়। এটাও বিক্ষোভের অন্যতম কারণ বলে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা ।
এ দিকে সোমবার হাতে পাওয়া বেসরকারি ও সরকারি জোড়া অটোপসি রিপোর্টের উল্লেখ করে জর্জের পারিবারিক আইনজীবী জানিয়েছেন, পুলিশ অফিসার ডেরেক শভিনের হাঁটুর চাপে শ্বাসরুদ্ধ হয়েই মৃত্যু হয় জর্জের। এই রিপোর্টের ফলে মিনিয়াপোলিস থেকে শুরু করে সর্বত্র বিক্ষোভের পারদ আরো চড়েছে। পরিস্থিতির সামাল দিতে ছ’টি প্রদেশ এবং অন্তত ১৩টি প্রধান শহরে জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা।
রাজধানী-সহ দেশের প্রায় ১৫০ শহরে নৈশ-কার্ফু অব্যাহত । সারা দেশ জুড়ে ৬৭ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে । ইতিমধ্যেই গ্রেফতার প্রায় পাঁচ হাজার প্রতিবাদী। রাত ১১টার পরে ব্রুকলিনে দেখা গিয়েছে হাঁটু মুড়ে শান্তিপূর্ণ ভাবেই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন এক দল প্রতীকী জনতা । কার্ফুর মধ্যেও এই ঘটনা দেখে পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
Highlights
১. ট্রাম্প বিরোধিতায় উত্তাল আমেরিকার জনতা
২. রাজধানী-সহ দেশের প্রায় ১৫০ শহরে নৈশ-কার্ফু অব্যাহত।
# America | # Donald Trump