Bangla News Dunia,শারদীয়া রায়: – জম্মু-কাশ্মীরে এক পাকিস্তানী ড্রোনকে গুলি করে নামালো বিএসএফ জওয়ানরা। পুলিশের অনুমান, জম্মু ও কাশ্মীরে আত্মগোপন করে থাকা জঙ্গিদের সাহায্যের জন্যেই পাকিস্তান থেকে ড্রোন মারফৎ ওই অস্ত্র জোগান দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল । কারণ ড্রোনটি থেকে প্রচুর গোলাবারুদ সহ একটি মার্কিন এম-৪ রাইফেল, দু’টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে। কিছুদিন আগে জম্মুতে নিহত জৈশ-ই -মোহাম্মদের কাছ থেকেও এইসব অস্ত্র পাওয়া গেছিলো।
এক পদস্থ পুলিশ করতে জানিয়েছেন আলী ভাই নাম এক জৈশ জঙ্গির জন্য এই ড্রোন পাঠানো হয়েছিল। পাক ড্রোনের পে লোড থেকে এই জঙ্গির নাম পাওয়া গেছে। পুলিশকর্তার বয়ানে আরো জানা গেছে যে চওড়ায় প্রায় ৮ ফুট এই ড্রোনটিকে কাঠুয়ার কাছে এক পাক ঘাঁটি থেকে ছোড়া হয়েছিল। ঐখানে থেকেই ড্রোনটিকে নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা ছিল বলে জানিয়েছেন ওই অধিকর্তা। পাক ঘাঁটিটি ছিল একেবারে কাঠুয়া সেক্টরের পানেসরে বিএসএফ-এর চৌকির ঠিক উল্টো দিকে। ফলে খুব সহজেই সকালে টহলরত বিএসএফ জওয়ানদের চোখে পরে ড্রোনটি।
শনিবার সকাল ৫.১০ নাগাদ ড্রোনটিকে আকাশে উড়তে দেখে বিএসএফ জওয়ানরা। সেটি ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় ২৫০ মিটার এলাকার মধ্যে ঢুকে পড়লে ৯ রাউন্ড গুলি চালান জওয়ানরা। শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য পাকিস্তান এখনো সচেষ্ট । সীমান্তে এই জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির সংক্রিয়তা তারই প্রমান দেয়। এর আগেও পাক ড্রোনের মাধ্যমে উপত্যকার জঙ্গিদের অস্ত্র সরবরাহের চেষ্টা চালানো হয় কুপওয়ারা, রজৌরি ও জম্মু সেক্টরে। প্রতি বারই বিএসএফ জওয়ানদের তৎপরতায় তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
মূলত পাক সেনাবাহিনী এই ধরণের ড্রোন ব্যবহার করে ভারতীয় সেনাদের অবস্থান জানার জন্য। এছাড়া জঙ্গি অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রেও এই রকম ড্রোন ব্যবহার করা হয়। কাঠুয়ার কাছে এই হিরানগর সেক্টর বরাবর অঞ্চলে পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে। মে মাসের শেষের দিকে এই কাঠুয়া গ্রামের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এক পায়রাকে উদ্ধার করা হয়েছিল। ওই পায়রার পায়ে সাংকেতিক চিহ্ন লেখা এক রিং উদ্ধার হয়েছিল। ওই পায়রার সাথে ড্রোনের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Highlights