Bangla News Dunia,শারদীয়া রায়: – শনিবার সীমান্ত সমস্যা নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে চীন এবং ভারত। লাদাখের চুসুলে এই বৈঠক হবে। সীমান্ত বিরোধে এতদিন পর্যন্ত স্থানীয় স্তরের আধিকারিকদের মধ্যেই বৈঠক হয়েছিল। বড় সঙ্ঘাতের ক্ষেত্রে খুব বেশি হলে ডিভিশনাল কম্যান্ডার অর্থাৎ মেজর জেনারেল র্যাঙ্কের আধিকারিকরা বৈঠকে বসেন। কিন্তু সীমান্ত বিবাদ নিয়ে এই স্তরের বৈঠক ভারত-চিনের মধ্যে বিরল। এইবার সীমান্ত বিবাদ নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব এর আগে চীন প্রথম দিয়েছিলো। তবে আলোচনার সাথে সাথে প্রত্যাঘাতের জন্যও ভারতকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ আড়ালে যেকোনো সময় চীন আক্রমণ করতে পারে বলে তাদের ধারণা।
প্রসঙ্গত ভারত এবং চীনের সীমান্ত যেখানে মিশেছে সেই অরুনাচল থেকে লাদাখের বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে ভারত-চীনের দ্বন্দ্ব বহুদিনের। এলএসি বলে ভারত যে রেখাকে মানে, অনেক জায়গাতেই চিন সেই রেখাকে মানে না। এলএসি বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) বা আদর্শ আচরণ বিধি তৈরি করে রেখেছে দু’দেশ মিলেই। কিন্তু ভারত যে রেখাকে এলএসি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে সেই রেখাকে চিন স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছে। তাই এলএসি আসলে কোনটা, তা নিয়ে ভারত এবং চিনের ধারণায় বিস্তর ফারাকই এই বিবাদের আসল কারণ বলে ধারণা অনেক বিশেষজ্ঞদের।
এসওপি সেই আশির দশকের শুরুর দিক থেকেই তৈরি হয়ে রয়েছে। কিন্তু তার লঙ্ঘনও করা হয়েছে বারংবার । ইদানীং তার সংখ্যা বেড়েছে। কোনও ঐতিহাসিক দলিল বা ভৌগোলিক যুক্তি না দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে চীন প্রশাসন এলএসি-র বিভিন্ন রকম অবস্থান দেখাতে থাকে। তাই ভারত এবং চিনের মধ্যে জিইয়ে থাকা সীমান্ত বিবাদ শুধুমাত্র ‘ধারণার ফারাক’— এটা একটা ভ্রান্ত ধারণা।
বর্তমানে করোনা আবহে চীন কোনঠাসা অবস্থায় রয়েছে। সারা বিশ্বে করোনার মহামারীরূপে ছড়িয়ে পড়ার পেছনে চিনকেই আমেরিকা সহ বিশ্বের প্রায় সব দেশ দায়ী করছে। আমেরিকার সঙ্গে চলতে থাকা শুল্কযুদ্ধকে ঘিরেও আন্তর্জাতিক মহলের একটা প্রভাবশালী অংশ চিনের বিরুদ্ধে। এসবের মধ্যে এলএসি নিয়ে ভারতের সাথে বিবাদের সূত্রপাত, কূটনৈতিক স্তরে চিন-বিরোধী আবহাওয়াকে আরো গাঢ় করেছে। আমেরিকাও এই সীমান্ত বিবাদ নিয়ে ভারতকে সমর্থন জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক চাপ বহাল থাকাকালীন সীমান্ত নিয়ে দু’দেশের ‘ধারণার ফারাক’ যতটা সম্ভব মিটিয়ে নেওয়া দরকার।
Highlights
১. শনিবার সীমান্ত বিবাদ বৈঠক হবে ভারত ও চিনের মধ্যে
২. তবে প্রত্যাঘাতের সম্ভবনাও রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে
৩. এর আগে কোর কমিটির বৈঠক হয়নি।
৪. সীমান্ত সমস্যার সমাধান হলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উভয় দেশই লাভবান হবে বলে মনে করা হচ্ছে ।
# China | # India