Bangla News Dunia ,পল্লব চক্রবর্তী : বিতর্ক পিছু ছাড়ে না বাংলাদেশি গায়ক নোবেলের, যিনি নোবেল নামেই পরিচিত তাঁর অনুরাগীদের কাছে। আসলে বিতর্কে থাকতেই ভালোবাসেন এই সঙ্গীতশিল্পী। হিরো আলমের সমর্থনে মুখ খুলে বেলাগাম নোবেল। তাঁর নিশানায় দুই বাংলার আইকন, বাঙালির কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বাঁকা মন্তব্য এই প্রথম করলেন না নোবেল।
বিকৃতভাবে রবীন্দ্রসঙ্গীত-নজরুলগীতি গেয়ে সম্প্রতি বিপাকে পড়েন ইউটিউবার হিরো আলম। অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে রীতিমতো ডেকে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ পুলিশ। হিরো আলমের পাশে দাঁড়িয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট করেন নোবেল। তিনি লেখেন, ‘রবীন্দ্রনাথ-নজরুল তো আর নবী বা দেবতা না যে তাদের গান প্যারোডি আকারে গাওয়া যাবে না!
নোবেলর কথায় বাংলাদেশের সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের কোনও অবদান নেই। নোবেলের বিবৃতিতেই চটেছে নেটপাড়া। ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতও রবি ঠাকুরের লেখা। বলা যায়, দুই বাংলার মিলন সেতু রবীন্দ্রনাথ-নজরুল। দুই দেশেই সমানভাবে সমাদৃত তাঁরা। জাতীয় সঙ্গীতের স্রষ্টার অপমান করে দেশের অপমান করেছেন নোবেল। তবে নিজের অবস্থানে অনড় নোবেল। বাংলাদেশের সঙ্গে, বাংলার মানুষের সঙ্গে এই সোনার বাংলার যোগ অনেক বেশি এমনকী এই গানটিই বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হোক এমন দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মিছিলও হয়েছিল’।
নোবেলের পোস্টে বিতর্কের ঝড়। একজন লিখেছেন, ‘আপনি যে প্রকৃত পক্ষে শিল্পী নন আবারও প্রমাণ করলেন। রবীন্দ্রনাথ কি করেছেন সেটা না ভেবে না দেখে আপনি দেশের জন্য কি করেছেন বা কি করবেন সেটা ভাবুন।‘ অপরজন লেখেন, ‘নিজেই সারেগামাপা-তে রবীন্দ্র সঙ্গীত আমারও পরান যাহা চাই গানটা গাইলো এখন নিজেই সমালোচনা করে, হাইরে হিপোক্রিসি’। অবাক করার মতো বিষয় হল অনেক নোবেল ভক্ত তাঁর কথায় সহমতও পোষণ করেছে।
প্রসঙ্গত জি বাংলার মিউজিক রিয়ালিটি শো সারেগামাপা থেকে প্রচারের আলোয় উঠে আসেন এই বাংলাদেশি গায়ক। কিন্তু হামেশাই বিতর্কিত মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ানোটা নোবেলের বরাবরের অভ্যাস। ব্যক্তিগত জীবনও হামেশাই থাকে চর্চায়। আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়েও বিতর্কিত পোস্ট করে আইনি বিপাকে জড়িয়েছিলেন নোবেল।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল