Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী :- লড়াকু বিমান উড়িয়ে চীনকে কড়া বার্তা আমেরিকার। আমেরিকা আর চীনের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। দুই দেশ না কূটনৈতিক স্তরে নরম হচ্ছে, আর না সৈন্য শক্তি প্রদর্শন করার থেকে বিরত থাকছে। আমেরিকা বারবার চীনকে কড়া বার্তাও দিচ্ছে। আমেরিকার ফাইটার জেট চীনের একদম কাছে পৌঁছে গেছে। আমেরিকার এক সামরিক শক্তি সম্পন্ন জাহাজ সাংহাইয়ের থেকে মাত্র ১০০ কিমি দূরে আছে। আর আমেরিকার এক লড়াকু বিমান একেবারে সাংহাইয়ের পাশ দিয়ে ঘুরে এসেছে।
আমেরিকার ওই লড়াকু বিমান তাইওয়ানের এয়ারবেস থেকে উড়ে যায় আর দেখতে দেখতে সাংহাইয়ের পাশে পৌঁছে যায়। এটা শুনতে সাধারণ কথা বলে হলেও, ঘটনাটি সাধারণ না। আমেরিকা চীনকে এটাই বোঝাচ্ছে যে, শুধরে যাও নাহলে ঘরে ঢুকে মারব। আমেরিকান নেভির P-8A সাংহাইয়ের থেকে মাত্র ৭৬.৫ কিমি দূরে আছে। আর এর সাথে সাথে আমেরিকার এক লড়াকু বিমান চীনের সীমান্তে দাখিল হয়ে গেছে। সাংহাই থেকে মাত্র ১০৬ কিমি দূরে আমেরিকার এই লড়াকু বিমান ঘোরাফেরা করেছে।
আমেরিকা এবার সাউথ চাইনা সমুদ্রে চীনের থেকে এগিয়ে চীনের রক্তচাপ বাড়াতে সাংহাই আর বেজিংকে নিজেদের টার্গেট হিসেবে সেট করে নিয়েছে। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প আক্রমনাত্বক মনোভাব আপন করছেন আর চীনকে স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিচ্ছেন যে, এবার তাঁদের বদলাতে হবে। লাগাতার ১২ দিন ধরে আমেরিকার সেনার লড়াকু বিমান চীনের আশেপাশে উড়ে চলছে।
আমেরিকার নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করার জন্য কিছুদিন আগে দীর্ঘ দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম ছয়টি বোম্বার বিমানকে সাউথ চাইনা সমুদ্রের পাশে উড়িয়েছিল। চীন কড়া আপত্তি আর হুমকি দেওয়ার পরেও আমেরিকা চীনের এলাকায় গর্জন করতে থাকে। সাউথ চাইনা সমুদ্রে আমেরিকার নিজদের দুটি উন্নত জাহাজও মোতায়েন করেছে। আমেরিকার এই পদক্ষেপে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, তাঁরা এবার চীনের কোনরকম দুঃসাহস বরদাস্ত করবে না আমেরিকা।