শেষের দিন আরও কাছে, ৮৯ সেকেন্ড দূরে ‘মহাপ্রলয়’

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

Bangla News Dunia, দীনেশ :- টিক টিক টিক। ডুমস ডে ক্লকের (Doomsday Clock) কাঁটা আরও কাছে চলে এল পৃথিবীর। বিনাশঘড়ি বলছে, মহাপ্রলয় থেকে আর মাত্র ৮৯ সেকেন্ড দূরে দাঁড়িয়ে মানবসভ্যতা। এতদিন ঘড়ির কাঁটা ছিল ৯০ সেকেন্ড দূরে।

সম্প্রতি ডুমস ডে ক্লকের কাঁটা আগের বছরের চেয়ে এক সেকেন্ড কমিয়ে ৮৯-এর ঘরে রেখেছেন বুলেটিন অব দ্য অ্যাটমিক সায়েন্টিস্টস-এর বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, পৃথিবীর অন্তিমদশা ক্রমশ ঘনিয়ে আসছে। বর্তমানে যে নানাবিধ বিপদের মধ্যে রয়েছে মানবসমাজ, সেব্যাপারে অবিলম্বে কোনও পদক্ষেপ করা না হলে ধ্বংস হওয়া কেবল কয়েক মুহূর্তের ব্যাপার। ডুমস ডে ঘড়ির কাঁটা ৮৯ সেকেন্ডে থাকার অর্থ, পৃথিবী একটা বড় বিপদে পড়ার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। কোল্ড ওয়ারের সময় প্রথম এই ঘড়িটি পারমাণবিক বিপদের প্রতীক হিসেবে তৈরি হয়েছিল।

আরও পড়ুন:– বেকার ছেলেমেয়েদের প্রতিমাসে 5000 টাকা করে দিচ্ছে। কিভাবে আবেদন করবেন দেখে নিন

বুলেটিনের সায়েন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল হোলজ বলেছেন, ‘চলতি বছরের সিদ্ধান্তের পিছনে পারমাণবিক ঝুঁকি, জলবায়ু পরিবর্তন, জীববিজ্ঞানের বিকৃতি এবং কৃত্রিম মেধার মতো উদীয়মান প্রযুক্তির অপব্যবহার ইত্যাদি কাজ করেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অগ্রগতি এখন যুদ্ধের ময়দানেও নজরে পড়ছে এবং বিশেষভাবে উদ্বেগের বিষয় হল পারমাণবিক অস্ত্রের সঙ্গে এআই-এর ব্যবহার।’

আরও পড়ুন:– পুলিশ কনস্টেবলের সম্পত্তি 100 কোটি ! পুলিশি তদন্তে কি জানা গেলো ?

ডুমস ডে ক্লক আদতে একটি প্রতীকী ঘড়ি, যা পৃথিবী ও মানবজাতির মহাধ্বংসের সম্ভাবনা কতটা কাছাকাছি তা দেখানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৭ সালে প্রথম এই ঘড়ি তৈরি করেছিলেন জে রবার্ট ওপেনহাইমার, আলবার্ট আইনস্টাইন প্রমুখ বিজ্ঞানীরা। সারা বিশ্বে পরমাণু অস্ত্রের বাড়বাড়ন্ত, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার এবং অন্যান্য পরিবেশগত বিপদগুলির সমন্বয় পৃথিবীকে ঠিক গত গভীর খাদের কিনারায় নিয়ে ফেলছে, সে সম্পর্কে হুঁশিয়ার করে দিতেই তাঁরা তৈরি করেছিলেন এই ঘড়ি। এই ঘড়ির সময় যত কাছে চলে আসে, ততই মানবজাতির ধ্বংসের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আগের বছর ডুমস ডে ক্লকের কাঁটা ছিল ৯০ সেকেন্ড দূরে। এখন তা আরও এক ঘর এগিয়ে ৮৯ সেকেন্ডে এসে দাঁড়িয়েছে। এর অর্থ, গত এক বছরে আরও ঘনীভূত হয়েছে বিশ্ব সংকট।

আরও পড়ুন:– পশ্চিমবঙ্গে 1729 শূন্যপদে অঙ্গনওয়াড়ি নিয়োগ। আবেদন জানানো যাবে রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকে। জানুন বিস্তারিত

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন