Bangla News Dunia, Pallab : বাংলা আবাস যোজনার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান দিচ্ছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা সত্বেও রাজ্য সরকার বাংলার সাধারণ পরিবারগুলিকে বাংলা আবাস যোজনার অন্তর্গত গৃহ তৈরির অর্থ প্রদান করছে। এবার গৃহ নির্মাণের অর্থের পাশাপাশি কয়েক লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চলেছে সরকার। বাংলা আবাস যোজনার উপর ভিত্তি করে কর্মক্ষেত্র তৈরি করা হবে। তাই গ্রাম বাংলার যুবক-যুবতী থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক সকলেই এই কর্মক্ষেত্রের যোগদান করতে পারবেন।
এখানে আবেদনের জন্য কোন শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হবে না। সকল পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক নিজ নিজ এলাকায় কাজের সুবিধা পাবেন। নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো আগ্রহী প্রার্থীরা প্রতিবেদনটি বিস্তারিত দেখুন।
আরও পড়ুন:– কার্তিক মহারাজকে কেন পদ্ম সম্মান? জানতে বিস্তারিত পড়ুন
আবেদন যোগ্যতা:
বাংলা আবাস যোজনার অন্তর্গত রাজ্যে কয়েক লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এই কাজে আবেদনের জন্য বেশ কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন রয়েছে। যথা – আবেদনকারী কে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন নেই, শুধুমাত্র লিখতে এবং পড়তে জানলে আবেদন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আবেদনকারী অবশ্যই জব কার্ড থাকতে হবে, আবেদনকারীর নামে জব কার্ড না থাকলেও পরিবারের কারো নামে জব কার্ড থাকলেও আবেদন প্রক্রিয়া অংশগ্রহণ করা যাবে। একটি পরিবারে একজন সদস্যই আবেদন জানাতে পারবেন।
জব কার্ড ধারীদের কাজের সুযোগ:
বর্তমানে সমগ্র রাজ্যে বাংলা আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকেছে। একাউন্টে টাকা পাওয়ার পর থেকে প্রত্যেকের গৃহ নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। যেহেতু সমগ্র রাজ্যজুড়ে কয়েক লক্ষ পরিবার গৃহ নির্মাণের টাকা পেয়েছেন, তাই একসাথে বিপুল পরিমাণ গৃহ নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য নির্মাণ কর্মীর অভাব পড়েছে। তাই বহু পরিবার গৃহ নির্মাণ সম্পূর্ণ করতে পারছেন না। তাই রাজ্য সরকার জব কার্ড ধারী ব্যাক্তিদের বাংলা আবাস যোজনার মাধ্যমে কাজ দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শুধুমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনায় রাজ্য সরকার বাংলা আবাস যোজনার মাধ্যমে প্রায় ১,৪১,০০০টি বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে।
প্রতিটি বাড়ির জন্য একজন করে জব কার্ডধারীকে নির্মাণকাজে নিয়োগ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য যথেষ্ট সংখ্যক চাকরির সুযোগও তৈরি হবে। শুধুমাত্র দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় দেড় লক্ষ এর কাছাকাছি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে চলেছে। সমগ্র রাজ্য জুড়ে প্রতিটি জেলায় জেলায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হলে এই সংখ্যা আরো কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।