Bangla News Dunia,শারদীয়া রায়: – সন্তানের অনলাইন ক্লাসের জন্য অনেক বাবা মাকেই বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে স্মার্টফোন। অপ্রাপ্তবয়স্কদের এখনই স্মার্টফোন দেওয়ার ইচ্ছে না থাকলেও পরিস্থিতির চাপে পরে না চাইতেও দিতে হচ্ছে। তবে অৰ্থাভাবে অনেকে তাও করতে পারছেন না। সব মিলিয়ে অনলাইন ক্লাস চালু হওয়ার পর থেকে পড়ুয়াদের সাথে সাথে তাদের বাবা মায়েরাও বেশ চাপে পড়েছেন সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।
করোনা ভাইরাসের কারণে দেশব্যাপী যে লক ডাউন এতদিন ধরে চলছিল আজ থেকে তা প্রায় তুলে দেওয়া হয়েছে । সর্বত্র শিথিল হয়েছে কড়াকড়ি। সরকারি থেকে বেসরকারি প্রায় সমস্ত অফিস আজ থেকে চালু হয়ে গেছে। কিন্তু জুন পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে এতে করে পড়াশোনার যাতে কোনো ক্ষতি না হয় তার জন্য বেড়েছে অনলাইন ক্লাসের চাহিদা। কিন্তু এই চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন পড়ুয়ার অভিভাবকরা।
অনলাইন ক্লাস করতে গেলে মোবাইল কিংবা কম্পিউটার প্রয়োজন। কারোর বাড়িতে ল্যাপটপ আছে কারোর বা ডেস্কটপ। যাদের কম্পিউটার নেই তাদের মোবাইলই ভরসা। কিন্তু যাদের কোনোটাই নেই তারা এখন কেনার কথা চিন্তা করছেন। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে কাজের ক্ষতি করে হলেও সন্তানকে নিজের স্মার্টফোন দিয়ে ক্লাস করার সুযোগ করে দিচ্ছেন অভিভাবকেরা।
এদিকে অন্য এক চিত্র তুলে ধরলেন মোবাইল বিক্রেতারা। তাদের মতে অনলাইন ক্লাস করতে গেলে প্রয়োজন ভালো মোবাইল। বাজারে এইসব মোবাইলের মূল্য বেশ বেশি ,যা অনেক পরিবারের সামর্থ্যের বাইরে। লকডাউন-পর্বে পাইকারি বাজার ও বিভিন্ন সংস্থার ডেলিভারি বন্ধ ছিল। তাই এখন দোকান খুললেও পর্যাপ্ত জোগান নেই। ফলে কেউ ফোন চাইলেই যে চট করে পাবেন, তারও নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না এই মোবাইল বিক্রেতারা। তাই সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে ফারাকের মাঝেই মোবাইলের অপ্রতুলতা এখন উদ্বেগের বড় কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে অভিভাবকদের কাছে।
Highlights
১. সন্তানের অনলাইন ক্লাসের জন্য অনেক অভিভাবকেই কিনতে হচ্ছে স্মার্টফোন।
২. তবে অনেকের পক্ষেই কিনে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
৩. বাজারে এখন ভালো মোবাইলের যোগানের অভাব দেখা দিয়েছে দীর্ঘ লক ডাউনের ফলে
# Lock down | # Smartphone | Online Class