Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব যুব দিবস। স্বামী বিবেকানন্দের ১৬০তম জন্মবার্ষিকী। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেশজুড়ে তাঁর জন্মদিন পালনে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসুচি। আমরা জানব স্বামীজীর স্মরণীয় কয়েকটি বাণীর প্রতি, যা এত বছর পেরিয়ে আজও আমাদের ধমণীর রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়, এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা জোগায়।
রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ছিলেন আধ্যাত্মিকতার গুরু। তাঁর কাছেই বিবেকানন্দ শিখেছিলেন – সকল জীবের মধ্যেই ঈশ্বর বাস করে, অতএব জীবের সেবা করে মানেই ঈশ্বরের সেবা করা। ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দের বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় ভারতবর্ষ ও হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং আমেরিকার শিকাগোতে বক্তৃতা দেন। তাঁর তেজময়ী ভাষণে মুগ্ধ হয়ে যান উপস্থিত বিশ্ববাসী। দেখুন তার অমুখ বাণী —–
১. ‘যারা তোমায় সাহায্য করেছে, তাঁদের কখনও ভুলে যেও না। যারা তোমাকে ভালোবাসে, তাদের কোনওদিন ঘৃণা করো না। আর যারা তোমাকে বিশ্বাস করে, তাদের কখনও ঠকিয়ো না।’
২. উঠে দাঁড়াও, শক্ত হও, দৃপ্ত হও। যাবতীয় দায়িত্ব নিজের কাঁধে নাও। মাথায় রেখো, তুমিই তোমার নিয়তির স্রষ্টা। নিজের ভবিষ্যত্ নিজেই তৈরি করে নাও।
৩. যে কোনও একটা ভাবনা মাথায় আনো। সেই একটা ভাবনাকেই তোমার জীবন করে ফেলো – সেটা নিয়েই ভাবো, সেটা নিয়েই স্বপ্ন দেখো, সেটা নিয়েই বাঁচো। বাস্তবায়িত করতে তোমার মস্তিষ্ক, তোমার পেশি, তোমার শরীরের প্রত্যেকটি অংগকে কাজে লাগাও। সাফল্য আসবেই।
৪. তুমি খ্রিষ্টের মতো ভাবলে তুমি একজন খ্রিষ্টান, তুমি বুদ্ধের মতো ভাবলে তুমি একজন বৌদ্ধ। তোমার ভাবনা, অনুভূতিই তোমার জীবন, শক্তি, জীবনী শক্তি।
৫. তুমি গীতা পড়ার থেকে ফুটবল খেলার মাধ্যমে স্বর্গের অনেক বেশি কাছাকাছি যেতে পারবে।
৬. ওঠো , জাগো এবং লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থেমো না।
৭. সারাদিন চলার পথে যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হও, বুঝবে তুমি ভুল পথে চলেছ।
৮. কোনো বড় কাজই কঠোর পরিশ্রম ও কষ্ট স্বীকার ছাড়া হয় নি।
৯. কেউ কিছু পাওয়ার উপযুক্ত হলে জগতের কোনো শক্তিই তাকে বঞ্চিত করতে পারে না।
১০. মনের মতো কাজ পেলে অতি মূর্খও করতে পারে। কাজকেই মনের মতো করে নিতে পারে, সেই বুদ্ধিমান। কোনো কাজই ছোট নয়।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল