Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী :- করোনা পরিস্থিতিতে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। ফলে শিশুরা ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার ফুরসত নেই। একঘেয়েমি জীবন কাটাচ্ছে শিশুরা। অধিকাংশ শিশু-কিশোর আসক্ত হয়ে পড়েছে স্মার্টফোনের প্রতি।
নিয়মিত জুম ক্লাস থেকে শুরু করে পড়া লেখা সবই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে শিশুরা আবদ্ধ হয়ে পড়েছে কম্পিউটার, ট্যাব, স্মার্টফোনের স্ক্রিনে। শুধু প্রয়োজনের হেতুই নয় বরং গেম খেলা, কার্টুন দেখা বেড়েছে।
সন্তানের স্মার্টফোন আসক্তি কমাতে পারছেন না। যা শিশুর মস্তিষ্কে খারাপ প্রভাব ফেলছে। অতিরিক্ত স্মার্টফোন আসক্তি শিশুর কোমল শরীরে ফেলতে পারে মারাত্মক প্রভাব। অনিদ্রা, খিটখিটে মেজাজ, জেদ, মানসিক বিকৃতি, খাবারে অনীহা, স্থূলতা থেকে ডায়াবেটিস পর্যন্তও হতে পারে এর ফলে।
জেনে নিন শিশুর স্মার্টফোন আসক্তি কীভাবে দূর করবেন——–
১. পাজল গেম শিমুর মানসিক বিকাশ উন্নত করে। সেরকম খেলায় নিয়োজিত করুন শিশুকে। একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিন এই করার জন্য। খেলার ছলে শিশুর মানসিক বিকাশও হবে এর ফলে।
নির্দিষ্ট সময়ের পাজল মিলিয়ে ফেলতে পারলে শিশুকে একটি ছোট্ট উপহারও দিতে পারেন। বকুনি দিয়ে কিংবা মেরে শিশুকে শাসন করবেন না কিংবা তার কাছ থেকে স্মার্টফোন কখনো কেড়ে নিবেন না। যত্ন সহকারে তার মধ্যে অন্য কাজের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে হবে।
২. অনলাইন ক্লাস করার পর শিশু আবার বই পড়তে নাও ভালো লাগতে পারে। সেই জন্য শিশুকে অডিও বুক শোনাতে পারেন। অডিও বুকে নাটকীয় ভাবে গল্প পাঠ করা হবে, তা শিশুরা শুনেই মনে রাখতে পারবে।
৩. রং নিয়ে খেলা করলে শিশুর মানসিক বিকাশ ঘটে। শিশুকে রং পেন্সিল কিনে দিন। ছবি আকার জন্য খাতা দিন। রং নিয়ে খেলা করলে শিশুর মন ভালো হয়ে যাবে। সেইসঙ্গে ছবি আঁকার দক্ষতাও বাড়বে।
৪. নাচ, গান বা খেলাধুলা যা সে করতে চায়, তা করার জন্য উৎসাহ দিন। তাহলে স্মার্টফোনের প্রতি আসক্তি কমতে শুরু করবে।
” আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল “