Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : জীবনের সঙ্গে ভীষণভাবে জড়িয়ে গিয়েছে মাস্ক শব্দটি। করোনা থেকে বাঁচার অন্যতম অস্ত্র হল মাস্ক। বর্তমানে ভারত করোনার দ্বিতীয় ঢেউ পেরিয়ে চলে এসেছে। ধীরে ধীরে আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জনজীবন। চলছে বাস, ট্রেন। অফিসে জমছে ভিড়। রাজ্যে ইতিমধ্যেই খুলেছে স্কুল। বাচ্চার স্কুল যাচ্ছে। মোটের উপর একটা স্থিতাবস্থা চলছে।
তবে একটা প্রশ্ন মানুষের মনে উঁকি দিচ্ছে। ঠিক কবে মুখ থেকে খুলে ফেলা যাবে মাস্ক ? কবে ফিরে পাওয়া যাবে পুরনো সেই জীবন? আসুন সেই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজে নেওয়া যাক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মুখ থেকে। প্রশ্ন করা হলে রাজ্যের কোভিড টাস্ক ফোর্সের অন্যতম সদস্য এবং আর জি কর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ জ্যোতির্ময় পাল বলেন, এখন তো প্রশ্নই নেই। এখনও করোনা আমাদের মধ্যে বেশ ভালো মতোই রয়েছে।
টিকাকরণ বা হার্ড ইমিউনিটির জন্য এখন অনেকটাই কম রয়েছে সংক্রমণ। রোগের তীব্রতাও সামান্য কমেছে। তবে এই নিয়ে আনন্দ করার কিছুই ঘটেনি। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত মাস্ক পরা। মাস্কই পারে আমাদের এই ভয়াল রোগ থেকে বাঁচাতে। এই নিয়ে মানুষের কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণের কথাও তুলে ধরেন ডা: পাল। তাঁর কথায়, এই মাত্র কয়েকমাস আগেও হাসপাতালের বেড নিয়ে মারামারি লেগে গিয়েছিল।
সকলকে বলব, মাস্ক পরুন এবং অন্যকেও পরতে বলুন। একই মত পোষণ করেন বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা: অনির্বাণ দোলুই। আর কোভিড সংক্রমণ রোধে মাস্কের কোনও বিকল্পই নেই। তাই মাস্ক হল এখন মাস্ট। আমাদেরও পরতে হবে মাস্ক। তবেই এই রোগ থেকে রক্ষা পেতে পারি। গবেষণা বলছে, সাধারণ কাপড়ের মাস্ক পরলেও ৫০ শতাংশ এরোসল আটকানো যায়। এন ৯৫ ও ট্রিপল লেয়ার মাস্ক প্রায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকরী। তাই করোনা আটকানোর ক্ষেত্রে মাস্কের বিকল্প নেই।
আমরা মাস্ক কবে ছাড়ব, এই প্রশ্ন না করে, বরং মাস্ককে জীবনের অঙ্গের মধ্যেই প্রবেশ করিয়ে নিতে পারি। মাস্ক শুধু করোনা নয়, অ্যালার্জি সহ নানান ভয়ঙ্কর সংক্রমণ থেকে মানুষকে বাঁচাতে পারে। তাই মাস্ক ছাড়ার কোনও প্রশ্ন উঠতেই পারে না।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল