BBangla Nwes Dunia , সঙ্গীতা দত্ত রায় :- কিছুদিন আগে পর্যন্ত সর্বত্রই প্লাস্টিক ব্যবহার বর্জিত ছিল। কিন্তু বর্তমানে করোনা ঠেকাতে প্লাস্টিকই একমাত্র ভরসা। ডাক্তার ,নার্সদের পোশাক থেকে শুরু করে মাস্ক ,গ্লাভস ,স্যানিটাইজারের বোতল ইত্যাদি সবই প্লাস্টিকের তৈরী। ফলে প্লাস্টিকের ব্যবহারও অনেক বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের চাহিদা তলানিতে নেমে আসার একমাত্র ভরসা ওই প্লাষ্টিক শিল্প। এছাড়াও প্লাস্টিকজাত টেস্ট কিট ,ভেন্টিলেটর ,স্যালাইন ও ওষুধের বোতল ,চিকিৎসার বিভিন্ন সামগ্রী ইত্যাদি পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। ইন্ডিয়ান প্লাস্টিক ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি অশোক জাজদিয়া বলেন -” প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর বিরুদ্ধে বহুদিন ধরেই অনেকে সোচ্চার হয়েছেন। কিন্তু আজ প্লাস্টিক জীবনদায়ী পণ্যের কাজ করছে। ”
আরো পড়ুন :- রাজ্যের রেড জোনে ২১ মে অবদি লকডাউনের ভাবনা
বর্তমানে এ রাজ্যে প্লাস্টিক পণ্য তৈরির প্রায় তিনহাজার কারখানা আছে। এছাড়া আরও অন্যান্য মিলিয়ে প্রায় হাজার আষ্টেক মতো প্লাস্টিক কারখানা আছে। এর মধ্যে কলকাতা ও হাওড়া এলাকার ৪৫ টি কারখানায় চিকিৎসার দরকারি সরঞ্জাম তৈরী হয়। কিন্তু লকডাউনের ফলে শ্রমিক সংখ্যা কম হওয়ায় ৪০% উৎপাদন ক্ষমতায় কাজ হচ্ছে। গেইল ইন্ডিয়া ,রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিস ,হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস ,অয়েল ইন্ডিয়া প্রভৃতি দেশ কোম্পানিগুলি কাঁচামালের যোগান দেওয়ায় উৎপাদনে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
আরো পড়ুন :- পশ্চিমবঙ্গ এগিয়ে করোনা মোকাবিলায়
লকডাউনের ফলে সমস্ত আমদানি রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্লাস্টিক সংস্থা গুলি এখন শুধু করোনার চিকিৎসা সংক্রান্ত জিনিসই বানাচ্ছে। যেমন মাস্ক ,গ্লাভস ,স্যানিটাইজার বোতল ইত্যাদি। এছাড়া এই অবস্থায় ত্রাণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিলি করার কাজেও প্লাস্টিকের ব্যবহার কার্যকরী হয়ে উঠেছে।