কলাপাতার এই গুনাগুন গুলো জানলে আপনি অবাক হবেন।

By Bangla news dunia Desk

Updated on:

অজয় দাস :- আমরা সকলেই কলার মোচা , থোড় ও পাকা  কলা খেয়ে থাকি। তবে আমরা এই জিনিস গুলোর সঠিক গুনাগুন জানিনা। তবে চলুন কলা পাতা , কলার মোচা , কলার থোড় ইত্যাদির গুনাগুন জেনে নেওয়া  যাক.

কলা গাছের সবুজ পাতার রস , মোচা ,থোড় সবই প্রয়োজনীয়। কলা গাছ ও পাতা শুধুই হাতি বা পশুর খাদ্য নয়।  কলা গাছের ভেষজ গুন অনেক অথচ চিকিৎসক গণ এই বিষয়ে নীরব অবশ আজ কাল দু এক জন ডাক্তার মোচা ও থোড়ের তরকারি খেতে বলেন। কেউ কেউ আবার থোড়ের রস খেতে বলেন। সর্দি কাশি শ্বাসকষ্ট কোষ্ঠবদ্ধতা আমাশা গ্যাস অম্বল উচ্চ রক্তচাপ লিভারের দোষ হলে কলাপাতার রো উপকারী।

না কচি , না শক্ত বিবর্ণ পাতা অথাৎ সবুজ পাতা বেটে বা থেঁতেলে সকালের দিকে আধ কাপ খেতে হবে নুন , চিনি ইত্যাদি মিশিয়ে খাওয়া চলবে না।

কলা পাতায় থাকে ক্লোরোফিন। ক্লোরোফিন পেটে গেলে অন্তের ঘা, লিউকোমিয়া, চর্ম রোগ হয় না। কলাপাতার সবুজ রস রক্ত পরিস্কার করে। কাঁচা কলা , পাকা কলা , শেকড় সবই উপকারী। তবে কাঁচকলার তরকারি খেলে কোষ্ঠ কাঠিন্য দেখা দেবে এবং পেটে আয়ু জমবে। পাকা কলা সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২ টার মধ্যে খাওয়া উচিত। যখন তখন পাকা কলা খেলে ক্ষতি হয়। কলা ভালো করে চিবিয়ে খেতে হয় গিলে খেতে নেই। পাকা কলা আমাদের মুখের লালতেই হজম হয়।

ইউরোপ ও অন্নান্ন উন্নত দেশে কলা পাতার সাহায্যে বহু রোগের চিকিৎসা করা হয়।  ফরাসি ডাক্তারের যক্ষা , আন্ত্রিক , আমাশা ও অতিসারে কলা পাতার রস খেতে দেন। শরীরের কোথাও কেটে গেলে ক্ষত হলে , চর্ম রোগ হলে কলাপাতার রস ঘষে লাগালে উপকার হয়। রক্ত ক্ষরণ , জমা সর্দিতে কলা পাতার রস খুবই উপকারী। কাশি , ক্ষয় রোগ ও থুতুর সঙ্গে রক্ত পড়লে কলা গাছের সবুজ তাজা পাতার রস বানিয়ে খেলে ভীষণ উপকার পাওয়া যায়।

কচি কলাপাতা কেটে প্রলেপ দিলে কীট দংশন , হুল ফোটানো ও কাটায় উপকার হয়। কলা পাতা বেটে খেলে পেটের বদ্ধ মল অম্ল বের করে দেয়। কলা পাতা সাইট্রিক এসিড , ক্যালসিয়াম , কোরোটিন ,ভিটামিন – এ , ভিটামিন -সি ও তিক্ত গুনধর্মী ট্যানিন ইত্যাদি আছে।

আমাদের দেশে কলা পাতা সহজ লভ। গ্রাম গঞ্জে সবজাগায় এই কলা পাতা ও কলা গাছ পাওয়া যায়। তবু আমরা এই কলা গাছের সঠিক গুনাগুন জানি না।

কলার ফুল অথাৎ মোচা একটি উপাদেয় আনাজ অথাৎ সবজি। এই মোচা নানা রকম ভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। বিচি কলার মোচা সব থেকে ভালো , কাঁঠালি কলার মোচা তারপর ও মর্তমান এবং সিঙ্গাপুরি তার পরে। মোচা কেটে তেতুল জলে ভিজিয়ে রাখলে মোচার কষ ঝরে যায়।

তবে বেশি কাঁচা কলা বা মোচা খেলে পেটে পাথর জমতে পারে। মোচাতে বেশি অক্সালিক এসিড থাকায় এই বিপত্তি। অতয়েব কাঁচকলা ও তার মোচা থেকে সাবধান।

Bangla news dunia Desk

মন্তব্য করুন