Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : বাইবেলে যিশুর জন্মতারিখের উল্লেখ না থাকলেও, প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর যিশুর জন্মদিন হিসেবেই পালন করা হয়। ইতিহাস বলে ২৪ ডিসেম্বর রাতে বেথেলহেমে কুমারী মা মেরীর কোলে জন্ম হয় যিশুর। হিংসা ভেদাভেদ মুছে ফেলতেই জন্ম হয় তাঁর। অনেকেই যিশুকে সূর্যের সন্তানও মনে করেন। যিশুর জন্মধরেই খ্রিস্টাব্দের হিসেব করা হয়। কিন্তু অনেকেই মনে করেন, তার একবছর আগে জন্মেছিলেন যিশু
অনুমান, ৩৩৬ খ্রিস্টাব্দে প্রথম বড়দিন পালন করা হয়, ক্যাথলিক রাজা কনস্ট্যানটাইনের আমলে। কয়েক বছর পর পোপ জুলিয়াস বলেন ২৫ ডিসেম্বর উদযাপন হবে বড়দিন হিসেবে। বড়দিন ঘিরে দ্বিমত রয়েছে জুলিয়ান ও গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে। অর্থোডক্স ও কপ্টিক চার্চ এখনও গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের বদলে জুলিয়ান দিনপঞ্জি অনুসারে ৭ জানুয়ারি বড়দিন পালন করে।
প্রাচীন রোমানরা ছিল প্রকৃতির পূজারি। রোমান প্যাগনরাও যাতে উৎসবে মেতে উঠতে পারেন সেই কথা ভেবেই ২৫ ডিসেম্বর পালন করা হয় বড়দিন। তথ্যের স্বীকৃতি দেয় না ইতিহাস। ইতিহাস বলে, খ্রিস্টানরা প্যাগন ধর্মকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চায়নি। একটু দূরত্বে থাকার চেষ্টা করেছে। রোমান পঞ্জিকা অনুসারে, ২৫ মার্চ মেরী জানতে পারেন তিনি সন্তান সম্ভবা। সেইদিন আবার ক্রুশবিদ্ধ করে যিশুকে হত্যা করা হয়। এর থেকে ৯ মাস পর আসে ২৫ ডিসেম্বর।
ভারতবর্ষে প্রথম ক্রিসমাস পালন করা হয় ১৬৬৮ সালে। জব চার্ণক প্রথম বড়দিন পালন শুরু করেছিলেন। সূর্যের উত্তরায়ণ শেষ হয়ে শুরু হয় দক্ষিণায়ন। বেলা একটু একটু করে বড় হয়। সেই সঙ্গে শীতের প্রকোপও কমতে শুরু করে। এই দিনেই নাকি যাবতীয় দুঃখ থেকে মুক্তি পেয়েছিল বিশ্ব। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন পালন করা হলেও ব্যতিক্রম রাশিয়া, জর্জিয়া, মিশর, আর্মেনিয়া। জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ৭ জানুয়ারি এখানে বড়দিন পালন করা হয়।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল