কিভাবে সৃষ্টি দেবী দুর্গার ? জানুন অজানা কাহিনী

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : পুরাকালে মহিষাসুর নামে এক অসুর ব্রহ্মার বরে বলীয়ান হয়ে একে একে অধিকার করল সমগ্র মর্ত্য ও পাতাল। একশতবর্ষব্যাপী যুদ্ধের পর দেবতাদের পরাস্ত করে মহিষাসুর তাঁদের তাড়িয়ে দিলেন স্বর্গ থেকে। অধিকার করলেন স্বর্গলোক। মুনি ঋষিরাও রেহাই পেলেন না তার অত্যাচার থেকে।

technical coching 2

বিতাড়িত দেবতারা ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের শরণাপন্ন হলেন। ব্রহ্মা জানালেন, কঠোর তপস্যাবলে মহিষাসুর তাঁরই কাছ থেকে বর লাভ করেছে যে ত্রিলোকের কোনও পুরুষই তাকে পরাভূত করতে পারবে না। ভয়াবহ অত্যাচারের কাহিনি শুনে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর ক্রোধান্বিত হলেন। মুখমণ্ডল ভীষণাকার ধারণ করল। ত্রিদেবের ক্রোধাগ্নির প্রচণ্ড তেজ ও দেবতাদের পুঞ্জীভূত রোষ সম্মিলিত হয়ে হিমালয়ের শীর্ষে মহর্ষি কাত্যায়নের আশ্রমে আবির্ভূতা হলেন এক ‘নারী’। তাঁর নাম দেবী দুর্গা।

ঋষি কাত্যায়নের আশ্রমে দশভূজার সৃষ্টিকার্য হয়েছিল বলে দেবী দুর্গার আর এক নাম ‘কাত্যায়নী’। পুরাণ অনুসারে, শিবের তেজ থেকে দেবীর মুখ, যমের তেজে চুল, বিষ্ণুর তেজে বাহু,  ব্রহ্মার তেজে পদযুগল, অগ্নির তেজে ত্রিনয়ন ও অন্যান্য দেবতার তেজে দুর্গার সৃষ্টি হয়। বিশ্বকর্মা দিলেন অলঙ্কাররাশি। সকল দেবতারা তাঁদের সমস্ত শক্তি ও অস্ত্র দেবীকে প্রদান করলেন। যেমন, ব্রহ্মা দিলেন কমণ্ডলু। দেবরাজ ইন্দ্র দিলেন বজ্র। কুবের দিলেন গদা, বিষ্ণু চক্র এবং মহেশ্বরের কাছ থেকে দেবী পেলেন পেলেন ত্রিশুল। রণ হুঙ্কারে ত্রিভূবন কেঁপে উঠল।

আরো পড়ুন :- শুভেন্দুর পিছনে ২০ কোটি টাকা খরচ করেছে মমতা, দাবি শুভেন্দুর

দেবী দুর্গা প্রবল পরাক্রমে এবং কৌশলে পরাজিত হল মহিষাসুরের বাহিনীকে। এরপর শুরু হল মহিষাসুর এবং দেবী দুর্গার যুদ্ধ। প্রবল যুদ্ধে কম্পিত হয়ে উঠল ত্রিভূবন। কিন্তু দেবী দুর্গা ধীরে ধীরে তার সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিলেন। মহিষাসুরের গলায় পা রেখে  ত্রিশুল দিয়ে তার বক্ষ বিদীর্ণ করে দিলেন দেবী।

আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন