Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : চাণক্য বা কৌটিল্যের কথা ইতিহাসে সবাই পড়েছি। এই পণ্ডিত যেমন অর্থশাস্ত্রে সুতীক্ষ্ণ মেধার পরিচয় দিয়েছিলেন, তেমনই রাজকার্য পরিচালনা এবং মানবজীবনের উন্নতিতেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ দিয়ে গেছেন। হাজার হাজার বছর পরেও চাণক্য নীতি তাই সমান জনপ্রিয়। আলোচনা করব কোন ধরণের মহিলারা স্বামীদের জীবনে সৌভাগ্য নিয়ে আসেন, সেই বিষয়ে।
আচার্য চাণক্য রচিত নীতিশাস্ত্র অনুসারে জীবনের সঙ্গে জড়িত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে চাকরি, ব্যবসা, সম্পর্ক – পরামর্শ দিয়েছেন চাণক্য। চাণক্য-নীতি মানুষকে জীবনে সাফল্য লাভের উপায় বাতলায়। কিন্তু তিনি আসলে খুব স্পষ্ট ভাবে খারাপ ও ভালোর মধ্যে পার্থক্য করেছেন।
কোন ধরনের মহিলারা তাঁদের স্বামীদের জীবনে সৌভাগ্য নিয়ে আসেন, দেখুন একনজরে —-
চাণক্য নীতি অনুসারে ধৈর্য্য হল মহিলাদের চরিত্রের ভূষণ। ধৈর্যশীল, তাঁর স্বামী ও পরিবার সৌভাগ্যবান। যদি কখনও সেই মহিলার পরিবার বা স্বামী কোনও সমস্যায় পড়েন, কখনও তাঁদের ছেড়ে যাবেন না। ধৈর্য্য ধরে সেই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার পথ বের করবেন। সেই মহিলাকে যিনি বিয়ে করেন, তিনি নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান।
ধর্মে মতি আছে, এমন মহিলা পরিবারের জন্য সব সময় সৌভাগ্য নিয়ে আসেন বলে জানিয়েছেন চাণক্য। ধার্মিক মহিলা নিজে কখনও অধর্ম করেন না এবং তাঁর পরিবারকেও অধর্মের পথে হাঁটতে দেন না। ফলে জীবনে সুখ ও সৌভাগ্য আসে তাঁর স্বামীর।
শান্ত প্রকৃতির মহিলারা সৌভাগ্য নিয়ে আসেন তাঁদের স্বামীর জীবনে। সহজে মাথা গরম করে ফেলা বা চিত্কার চেঁচামেচি করা কখনও শুভ প্রভাব নিয়ে আসতে পারে না।
কথার মধ্যে তিক্ততা বা উগ্রতা থাকলে, তাঁকে কেউ পছন্দ করতে পারেন না। তিনি পুরুষ হোন বা নারী। মিষ্টি ভাষায় যিনি কথা বলতে পারেন, তিনি তাঁর কথা দিয়েই অর্ধেক জয় করে ফেলার ক্ষমতা রাখেন। যাঁর জীবনসঙ্গীনী, সেই ব্যক্তি নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল