গায়ত্রী মন্ত্র পাঠের উপকারিতা এবং পদ্ধতি !

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : গায়ত্রী মন্ত্র হিন্দু ধর্মের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্র যা অত্যন্ত পবিত্র এবং শক্তিশালী বলে বিবেচিত হয়। এই মন্ত্রকে মা গায়ত্রী দেবীর বন্দনা হিসেবে গণ্য করা হয় এবং এর মাধ্যমে জ্ঞান, শক্তি, এবং আধ্যাত্মিক প্রাপ্তি লাভ করা সম্ভব হয়। গায়ত্রী মন্ত্র পাঠের সময় মন্ত্রটির শক্তি ও গুরুত্ব সাধকের জীবনে একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

♦️গায়ত্রী মন্ত্রের পরিচয়:—

গায়ত্রী মন্ত্রটি রিগ্বেদের তৃতীয় মন্ডলের ৬২তম সূক্তে পাওয়া যায়। এই মন্ত্রটি ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বর—তিন দেবতার সম্মিলিত শক্তিকে ধ্যান করে উচ্চারণ করা হয়। গায়ত্রী মন্ত্রের মূল শ্লোকটি হলো:

আরও পড়ুন:– কপিল শর্মা, রাজপাল যাদব-সহ ৪ তারকাকে প্রাণে মারার হুমকি, পাকিস্তান থেকে ই-মেল

“ওঁ ভূর্ভুবঃ স্বঃ
তৎ স্‌বিতুর্‌ বরেণ্যং
ভর্গো দেবস্য ধীমহি
ধিও যোনঃ প্রচোদযাত্‌।’’

এই মন্ত্রটির মাধ্যমে সাধক সূর্যদেবের অনুগ্রহ প্রার্থনা করেন এবং নিজের জ্ঞান ও বুদ্ধির উন্নতির জন্য প্রার্থনা করেন।

♦️গায়ত্রী মন্ত্র পাঠের উপকারিতা:—

গায়ত্রী মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে অনেক উপকারিতা লাভ করা সম্ভব। কয়েকটি প্রধান উপকারিতা নিম্নরূপ:

মানসিক শান্তি ও স্থিরতা: গায়ত্রী মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে মনকে শান্ত ও স্থির রাখা সম্ভব। নিয়মিত মন্ত্র পাঠ মনের উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা দূর করতে সাহায্য করে এবং মনের ওপর একটি শীতল প্রভাব ফেলে।

আধ্যাত্মিক জ্ঞান লাভ: গায়ত্রী মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক জ্ঞান ও উপলব্ধি বৃদ্ধি পায়। এই মন্ত্রের শক্তি সাধককে আত্মার শুদ্ধি ও উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যায়।

সুখ ও সমৃদ্ধি: গায়ত্রী মন্ত্রের শক্তি সাধকের জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে জীবনের সমস্ত দুঃখ-কষ্ট দূর হয়ে জীবনে সুখ ও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।

কর্মফল কাটানো: গায়ত্রী মন্ত্রের নিয়মিত পাঠ সাধকের খারাপ কর্মফল কাটিয়ে তাকে পুণ্য অর্জনের সুযোগ দেয়। এটি জীবনকে সুন্দর ও সফল করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।

স্বাস্থ্য উন্নতি: গায়ত্রী মন্ত্রের পাঠ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। মন্ত্রটির শক্তি শরীরের রোগ-ব্যাধি দূর করতে সাহায্য করে এবং সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়ক হয়।

♦️গায়ত্রী মন্ত্র পাঠের পদ্ধতি:—

গায়ত্রী মন্ত্র পাঠের জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম ও পদ্ধতি রয়েছে, যা অনুসরণ করা হলে এর সর্বাধিক উপকারিতা লাভ করা সম্ভব:

শুদ্ধতা: মন্ত্র পাঠের আগে শারীরিক ও মানসিক শুদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকালে স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্র পরে মন্ত্র পাঠ করা উচিত।

সঠিক আসন: মন্ত্র পাঠের সময় সঠিক আসনে বসা উচিত। সাধারণত পদ্মাসনে বা সুস্থানে বসে মন্ত্র পাঠ করা হয়।

সময়: গায়ত্রী মন্ত্রের জন্য সূর্যোদয়ের সময় সবচেয়ে উপযুক্ত। সকালে স্নানের পর সূর্যদেবের দিকে মুখ করে মন্ত্র পাঠ করা উচিত।

মন্ত্রমালা: মন্ত্র পাঠের সময় রুদ্রাক্ষ বা তুলসীর মালা ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতিবার মন্ত্র জপ করার সময় একটি করে মালা ঘুরানো হয়।

ধ্যান ও মনোযোগ: মন্ত্র পাঠের সময় মনের সম্পূর্ণ মনোযোগ মন্ত্রের শব্দগুলোর উপর কেন্দ্রীভূত রাখা উচিত। মন্ত্র পাঠের সময় অন্য কোনও চিন্তা বা উদ্বেগ মনে আনতে নেই।

সংখ্যা: সাধারণত ১০৮ বার গায়ত্রী মন্ত্র পাঠ করা হয়। এই সংখ্যা একটি পূর্ণতা বোঝায় এবং মন্ত্রের শক্তি বাড়ায়।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন