Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী :- জীবনে নেতৃত্ব দিতে চান ! ভারতের মাটিতে যে সব মহান ব্যক্তি জন্ম নিয়েছেন তাদের মধ্যে চন্দ্রগুপ্ত বিক্রমাদিত্যের প্রধানমন্ত্রী চাণক্য স্মরণীয়। এখনো পর্যন্ত তার মত একাধারে রাজনীতি, কূটনীতি, যুদ্ধ বিশারদ ও অর্থনীতিবিদ মানুষ ভারতের মাটিতে কোনোদিন জন্ম নেয় নি। চন্দ্রগুপ্তের মহামন্ত্রী হলেও তিনিই ছিলেন মৌর্য সাম্রাজ্যের আসল চালিকাশক্তি। চন্দ্রগুপ্তের সিংহাসন আরোহন থেকে শুরু করে নির্বিঘ্নে রাজ্য শাসন সমস্তই তারই উর্বর মস্তিষ্কের ফসল।
ভারতীয় সাহিত্য ও প্রাচীন পরম্পরাতে চাণক্য এক কিংবদন্তি স্বরূপ। তিনি তার বিশাল জ্ঞান লিপিবদ্ধ করেছিলেন অর্থশাস্ত্র ও চাণক্য নীতি নামের দুটি গ্রন্থে। বস্তুত এই দুই গ্রন্থে চাণক্যের দেওয়া উপদেশাবলি যদি কেউ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে পারে তবে নাম, যশ, খ্যাতি ও সম্পদের চূড়ায় ওঠা সম্ভব।
চাণক্য সফল নেতা ও রাজা হিসাবে প্রতিষ্ঠা দিয়েছিলেন চন্দ্রগুপ্তকে।
চাণক্যর উপদেশ —
১. চাণক্য লিখেছেন, একজন মানুষকে দলনেতা হতে গেলে সবার আগে প্রয়োজন শৃঙ্খলা।
২. নিজে সুশৃঙ্খল না হলে কখনোই দলকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে পারবেন না তিনি।
৩. চাণক্যের মতে ভাল দলনেতার দ্বিতীয় গুন স্বার্থহীন হওয়া।
৪. দলনেতা নিজে যদি স্বার্থপর না হন তবে তার দলও তাকে অনুসরণ করে।
৫. পাশাপাশি দলের মধ্যে নেতার প্রতি সম্মানও অনেকখানি বেড়ে যায়।
৬. তৃতীয়ত দলনেতাকে হতে হবে সূক্ষ দৃষ্টি সম্পন্ন।
৭. তিনি সহজেই বুঝে যাবেন তার দলের কোন মানুষ কোন দ্বায়িত্ব পালনে পারদর্শী।
৮. দলনেতার দূরদৃষ্টি ও সময় জ্ঞানও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৯. সঠিক পরিকল্পনা দলনেতার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য বলে মনে করেন চাণক্য।
অর্থাৎ সর্বোপরি একমাত্র সঠিক পরিকল্পনা ও উপযুক্ত সময়ে সঠিক পদক্ষেপ যেমন কঠিন বিপদ থেকে রক্ষা করে তেমনই দলকে মজবুতও বানায়। নতুন নেতার জন্ম হয়।