Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : নিউরোন সক্রিয় হলে সেই অংশে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায়। এই রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধির এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় নিউরোভাস্কুলার কাপলিং। নুন ঠিক কীভাবে মস্তিষ্কের উপর প্রভাব ফেলে। সেটার বর্ণনা করা হয়েছে।
জর্জিয়া স্টেটের নিউরোসায়েন্স বিভাগীয় প্রধান ডাঃ জেভিয়ার স্টার্নের অধীনে চলা গবেষণা মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাসের উপরে করা হয়েছে। যা আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ যেমন ক্ষুধা , তৃষ্ণা , ভয় , তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি করে থাকে। গবেষণা বলছে , নুন আমাদের মস্তিষ্কের এই অংশের রক্তপ্রবাহের কি পরিবর্তন আনছে। ডাঃ জেভিয়ার বলেন, শরীরে বেশি পরিমাণে নুন পৌঁছে যাচ্ছে, তখনই মস্তিষ্কে এক বিশেষ কাজ শুরু হয়ে যায়। শরীর চায় সোডিয়ামের পরিমাণ কমিয়ে স্বাভাবিক করে দিতে। কাজটি করার জন্য নির্দিষ্ট অংশের নিউরোনকে সক্রিয় করে। সেই নির্দিষ্ট নিউরোন ভ্যাসোপ্রেসিননামক একটি হর্মোন ক্ষরণে সাহায্য করে। যা শরীরে নুনের ভারসাম্য বজায় রাখে।
বর্তমানে গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, মস্তিষ্কের হিপোথ্যালামাসে রক্ত চলাচলের পরিমাণ কমে যায়। সেই ফলাফলে চমকেছে চিকিৎসকমহল।ডাঃ জেভিয়ার বলেন, আমরা এই ফলাফল আশা করিনি। সাধারণত অ্যালঝাইমার্স, স্ট্রোক, ইস্কেমিয়ার মতো ঘটনায় মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ কমে। নুন খেলেও ঠিক তেমনটাই হতে দেখা যাচ্ছে। বড় সমস্যার দিকেই ইঙ্গিত করে। এমনকী প্রাণঘাতী কিছু অসুখও ঘটতে পারে।
তিনি আরও বলেন, নুন খেলে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। আর শরীরে বৃদ্ধি পাওয়া সোডিয়ামের মাত্রা অনেকটা সময় পর্যন্ত বজায় থাকে। তাই এক্ষেত্রে নানান সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি। গবেষণার ফলাফলে চমক আসার পর আরও গভীরে পৌঁছে স্টাডি করায় জোর দিচ্ছেন গবেষকরা। তাঁরা মস্তিষ্কের অন্যান্য অংশের উপরও কাজ করতে চান।
পরিশেষে বলি, নুন খেতে যতই ভালো লাগুক না কেন, অল্প খান। রক্তচাপের সমস্যা থাকলে তো কথাই নেই। কাঁচা নুন খাবেন না। রান্নায় নুন অল্প খান। আর নিয়মিত প্রেশার মাপত হবে। থাকতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো। ভালো খাবার খান। শাক-সবজি, ফল থাকুক ডায়েটে। এক্সারসাইজ করুন। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট ঘাম ঝরাতে হবে। অবশ্যই ওষুধ খাওয়ার কথা ভুলবেন না। নিয়ম করে সময় মতো ওষুধ খান। তবেই ভালো থাকবেন। বিপদের ডঙ্কা বেজে যেতে সময় লাগবে না।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল