bBangla News Dunia, সঙ্গীতা দত্ত রায় :- উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন বাজারে পুলিশের নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। কোথাও জমায়েত দেখলেই পুলিশ তাদের সরিয়ে দিচ্ছে। পুলিশ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করলেও কিছু মানুষ এখনো বেহুঁশ। লকডাউন না মানায় বারাসাত থেকে ১৫৫ জনকে ধরেছে পুলিশ। আজ থেকে বনগাঁর বাজারগুলোকে খোলা মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। লকডাউনের মধ্যেও বনগাঁর নেতাজি মার্কেট ও নিউ মার্কেটে মাছ ও সবজি কেনার ভিড় দেখা গেছে। শনিবারও লোকজন গায়ে গায়ে লেগে বাজার করেছে।
আরো পড়ুন :- অসন্তুষ্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বনগাঁর ঘিঞ্জি এলাকা থেকে বাজার খোলা মাঠে সরানো হয়েছে। মহকুমাশাসক কাকলি মুখার্জী বলেন -‘ ৫ টি বাজারকে সরানো হয়েছে। নিউ মার্কেট বসবে পাশের তালতলা স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে ,ট বাজার সোনালী স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে ,রেল বাজার যাচ্ছে আরএস ময়দানে ,নেতাজি মার্কেট গেছে এমএস মাঠে। আর কালীবাড়ি বাজার বনগাঁ – চাকদা রোডের একদিকে বসবে। প্রশাসন সূত্রে খবর এই সপ্তাহেই গোপালনগর ,বাগদা ,গাইঘাটা ও বনগাঁর অন্যান্য ৪০ টি বাজারকে খোলা জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন :- তিন মহাদেশে তান্ডবের পর করোনার পরবর্তী লক্ষ্য কি ?
সোদপুরের কাউন্সিলর আক্রান্ত হওয়ায় সোদপুর রোডের ধারের বাজার মাছ ও সবজি বাজার সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন বারাসাতের কাছারি মাঠের বাজার সহ অন্যান্য বাজারেও টহল দেয় পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার সবচেয়ে আশঙ্কা দেগঙ্গা ব্লক নিয়ে। সেখানকার বেলিয়াঘাটা বাজার ,বেড়াচাঁপা বাজার ও দেগঙ্গা বাজারে অতিরিক্ত ভিড় হচ্ছে রোজ। পুলিশি নজরদারি বাড়ানোর ফলে ভিড় কিছুটা হলেও কমেছে।
ব্যারাকপুর অঞ্চলের বেলঘরিয়া ,সখের বাজার ,নন্দননগর ,কামারহাটি ,বারাকপুরে ও ভাটপাড়া প্রভৃতি বাজারগুলোতেও পুলিশ নজরদারি বাড়িয়েছে। ভাটপাড়া থানার পাশের বাজার রিলায়েন্স জুটমিলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।