Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : ভারতে অধিষ্ঠিত স্বয়ং শিব। স্বয়ং শিবলিঙ্গ রূপে অধিষ্ঠিত হয়েছেন, এইরূপে সারা ভারতবর্ষে ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ আছে, সেই সব শিবলিঙ্গকে বলা হয় দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ বলা হয়।
১. সোমনাথ— সোমনাথের মন্দির অতি প্রাচীন। সোমনাথের প্রাচীন মন্দির ধ্বংস হওয়ায় নতুন মন্দির তৈরি হয়েছে। গুজরাটের এই মন্দিরের পুরশুরামের মন্দির, শঙ্করাচার্যের মন্দির, সারদা মঠ, সূর্ষ মন্দির, সরস্বতী, হিরণ্য ও কপিলা নদীর সঙ্গম প্রভাস তীর্থ, শ্রীকৃষ্ণের অন্তর্ধানের স্থান, গীতা ভবন প্রভৃতি। ভেরাবল থেকে বাসেও সোমনাথ যেতে পারেন।
২. শ্রীমল্লিকার্জুন— অন্ধ্রপ্রদেশের তুর্ণুল জেলায় শ্রীশৈলম নামক স্থানে পাহাড় দিয়ে ঘেরা বিখ্যাত শিবক্ষেত্র। হায়দরাবাদ থেকে ২৩০ কিমি বাসে যেতে হয়। কৃষ্ণা নদীকে বাঁধ দেওয়ার ফলে নদীর জলধারার দৃশ্য অতি মনোরম। মহা শিবরাত্রিতে বহু পুর্ণাথীদের সমাগম হয়।
৩. শ্রীমহাকাল— মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে শিপ্রা নদীর তীরে ভগবান শ্রী মহাকালের মন্দির। এখানে মাটির নীচে আছে মূল মন্দির, আর তার ওপরে আছেন ওংকারেশ্বর শিব। শ্রীরামচন্দ্র সব তীর্থের জল এনে পিতার পিন্ড দান করেছিলেন এই মহাকালে।
আরো পড়ুন :- এই রাশির জাতকদের কখনো টাকার অভাব হয় না , সারাজীবন থাকে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ
৪. ওঁকারেশ্বর— ইন্দোর থেকে দুরত্ব বাসে ৭৭ কিমি পথ। তিন চার ঘন্টা পথ। নর্মদা নদীর মধ্যে দ্বীপ বিশেষ। এই স্থানেই আদি শঙ্করাচার্য দীক্ষাগ্রহণ এবং সিদ্ধিলাভ করেন। দ্বীপের বিপরীত দিকে ওঁকারেশ্বর মন্দির অবস্থিত।
৫. শ্রীকেদারনাথ– পঞ্চকেদারের মধ্যমনি হিমালয়ের পাদদেশে নৈসর্গিক শোভার মাঝে বিরাজমান কেদারনাথ মন্দির। উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়াল জেলায় অবস্থিত কেদারনাথ পর্বতের পাদদেশে এই মন্দির অবস্থিত।
৬. শ্রীভীমাশঙ্কর– ভীম নদীর তীরে মহারাষ্ট্রে পশ্চিমঘাট পর্বতমালার উপরে অবস্থিত এক প্রসিদ্ধ তীর্থক্ষেত্র। বাসেও যাওয়া যায়, আবার হায়দরাবাদ থেকে রেলে পারালি গিয়ে মন্দিরে যাওয়া যায়। ভীমাশঙ্করজী এখানে কালো পাথরের ছোট শিবলিঙ্গরূপে বিজারিত। এখানে শিবরাত্রিতে জমকালো উত্সব হয়। এই দেবস্থানের প্রাকৃতিক দৃশ্য অতি মনোরম।
আরো পড়ুন :- এই রাশির জাতকদের ২০২২ সাল দারুন কাটবে , দেখুন আপনার রাশি আছে কি না
৭. শ্রীবিশ্বেস্বর— কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরে স্থাপিত শিব মূর্তি। ১৮৮৬ সালে ইন্দোর মহারাণী অহল্যাবাঈ ও পাঞ্জাবকেশরী রমজিত্ সিংহ মন্দিরের শিখর গুলি তামার উপর সোনা দিয়ে মুড়ে দেন।
৮. শ্রীবৈজনাথ– মহারাষ্ট্রের প্যারলে বৈজনাথ মন্দিরটি অবস্থিত। ঔরঙ্গাবাদ থেকে ১৩০ কিমি দুরে বাসে যেতে হয়। প্রবাদ আছে, পাণ্ডবরা মন্দিরটি তৈরি করেছিলেন।
৯. শ্রীনাগেশ্বর– গুজরাটের দ্বারকা থেকে ওখার পথে প্রায় ১৭ কিমি গিয়ে দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম মন্দির নাগেশ্বর মাহাদেব মন্দির।
১০. শ্রীত্র্যম্বকেশর— মহারাষ্ট্রের নাসিক রেল স্টেশন থেকে ৫০ কিমি দুরে ত্র্যম্বকেশর মন্দির অবস্থিত। মন্দিরে ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শিবের সমন্বয়ে শিব মূর্তি। এখানে ১২ বছর পর পর পূর্ণকুম্ভ অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন :- বৃহস্পতির রাশি পরিবর্তনের ফলে কোন কোন রাশির উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে জানুন
১১. শ্রীরামেশ্বরম— চার ধামের এক ধাম। দক্ষিণ পূর্ব ভারতের শেষ প্রান্তে এক প্রণালীতে অবস্থিত শ্রীরামেশ্বরম। সীতাদেবীর গড়া শিবমূর্তি এবং শ্রীরামচন্দ্র কর্ত্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শ্রীরামেশ্বরম।প্রায় ২০ কিমি দুরে ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরের মিলন স্থলে অবস্থিত।
১২. শ্রীঘৃষ্নেস্বর—ঔরঙ্গাবাদ শহর থেকে ২৮ কিমি দুরে অবস্থিত মহারাষ্ট্রের বিখ্যাত ইলোরা গুহা থেকে ১ কিমি। দুরে শ্রীঘৃষ্নে শ্বর শিব মন্দির অবস্থিত।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল
