Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : ভূত বলতেই সাধারণত সকলের মনে ভয় উদ্রেককারী কোনও অজানা অশরীরির কথাই আগে মাথায় আসে। বাংলায় ভূত চতুর্দশীর সঙ্গে কিন্তু এর সম্পর্ক নেই। এ ক্ষেত্রে ভূত বলতে পূর্ব পুরুষদের কথা বোঝানো হয়। একই সঙ্গে ১৪ শাক এবং ১৪ প্রদীপেরও মাহাত্ম্য রয়েছে এই রীতির সঙ্গে।
পূর্ব ভারতে এর নাম ভূত চতুর্দশী হলেও, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একে নরক চতুর্দশীও বলা হয়ে থাকে। দক্ষিণ ভারতে বিশেষ করে গোয়া, তামিলনাড়ু এবং কর্ণাটকে যখন নরক চতুর্দশী সাড়ম্বরে পালিত হয় বাংলায় ভূত চতুর্দশী পালন হয়। এই দিন স্বর্গ ও নরকের দ্বার কিছু ক্ষণের জন্য উন্মোচিত হয়। বিদেহী আত্মা এবং স্বর্গত ব্যক্তিরা নেমে আসেন পৃথিবীতে। প্রদীপের চিহ্ন দেখে নিজেদের উত্তর পুরুষের ভিটেয় পৌঁছে যান।
এইদিন বাঙালিরা চোদ্দরকম শাকের (ওল, কেও, বেতো কালকাসুন্দা, নিম, সরিষা শালিঞ্চা বা শাঞ্চে, জয়ন্তী, গুলঞ্চ, পটুক পত্র বা পলতা, ভন্টাকি(ঘেঁটু) বা ভাঁট , হিলমোচিকা বা হিঞ্চে ,সুনিষন্নক বা শুষুনী বা শুষনি, শেলু বা শুলকা) মিলিত একটি পদ খেয়ে থাকে, যা চোদ্দ শাক নামে পরিচিত। তবে আয়ুর্বেদ মতে প্রাচীন বাংলায় চোদ্দো শাকগুলি ছিল – পালং শাক, লাল শাক, সুষণি শাক, পাট শাক, ধনে শাক, পুঁই শাক, কুমড়ো শাক, গিমে শাক, মূলো শাক, কলমি শাক, সরষে শাক, নোটে শাক, মেথি শাক, লাউ শাক অথবা হিঞ্চে শাক। আযুর্বেদ বলছে, এই ১৪টি শাকে নানা রোগ নাশক শক্তি থাকে। ঋতু পরিবর্তনের সময় যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
আরো পড়ুন :- DA : জানুন ডিএ বৃদ্ধির পর রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের বেতনের ফারাক কত হল ?
লোকাচার বলে, কালীপূজার আগের দিন চৌদ্দ শাক খেতে হয়। সন্ধ্যায় জ্বালতে হয় চৌদ্দ প্রদীপ। চতুর্দশী তিথির ভরা অমাবস্যায় চারিদিক নিশ্ছিদ্র অন্ধকার। সেই ঘন অন্ধকারের আমেজে বাড়ির চারপাশে প্রদীপ জ্বাললে মন্দ কী ? বলি রাজার অনুচররা যাতে যত্রতত্র ঢুকে না পড়েন।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল
আরো পড়ুন :- দুর্গাপূজা : ষ্টার হিন্দু ক্রিকেটারকে হুমকি, ইসলাম গ্রহণ করতে চাপ
আরো পড়ুন :- শুভেন্দুর পিছনে ২০ কোটি টাকা খরচ করেছে মমতা, দাবি শুভেন্দুর
আরো পড়ুন :- মমতার মিম বানিয়ে গ্রেফতার যুবক ! বিরোধীদের দাবি, বাক স্বাধীনতা খণ্ডনের চেষ্টা