ভূত চতুর্দশীতে ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয় , জানুন আসল কাহিনী

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : ভূত বলতেই সাধারণত সকলের মনে ভয় উদ্রেককারী কোনও অজানা অশরীরির কথাই আগে মাথায় আসে। বাংলায় ভূত চতুর্দশীর সঙ্গে কিন্তু এর সম্পর্ক নেই। এ ক্ষেত্রে ভূত বলতে পূর্ব পুরুষদের কথা বোঝানো হয়। একই সঙ্গে ১৪ শাক এবং ১৪ প্রদীপেরও মাহাত্ম্য রয়েছে এই রীতির সঙ্গে।

technical coching 2

পূর্ব ভারতে এর নাম ভূত চতুর্দশী হলেও, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একে নরক চতুর্দশীও বলা হয়ে থাকে। দক্ষিণ ভারতে বিশেষ করে গোয়া, তামিলনাড়ু এবং কর্ণাটকে যখন নরক চতুর্দশী সাড়ম্বরে পালিত হয় বাংলায় ভূত চতুর্দশী পালন হয়। এই দিন স্বর্গ ও নরকের দ্বার কিছু ক্ষণের জন্য উন্মোচিত হয়। বিদেহী আত্মা এবং স্বর্গত ব্যক্তিরা নেমে আসেন পৃথিবীতে। প্রদীপের চিহ্ন দেখে নিজেদের উত্তর পুরুষের ভিটেয় পৌঁছে যান। সঙ্গে ভূত-প্রেত ও সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে মর্ত্যে আসেন রাজা বলি।

আরো পড়ুন :- FREE-তে ল্যাপটপ দিচ্ছে সরকার, আপনি APPLY করেছেন ?

এই ঘটনার সঙ্গে বিষ্ণু পুরাণের যোগ রয়েছে। বলি রাজা স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতালের অধীশ্বর ছিলেন। বিষ্ণু বামন অবতার রূপে বলির কাছে তিন পা জমি চাইলেন। সব জেনেবুঝেও বলি তা দিতে সম্মত হলেন। বিষ্ণু দুটি পায়ের একটি মর্ত্যে, একটি স্বর্গে রাখলেন। আর আরেকটি পা তাঁর নাভি থেকে বেরিয়ে এল। সেটি তিনি রাখলেন বলির মাথায়। তার পর দৈত্যরাজ বলির পাতাল প্রবেশ ঘটে। মহাবলি মৃত্যুহীন প্রাণ।

তিনি সপ্ত চিরজীবীর অন্যতম। বাকি ছয় জন হলেন ব্যাসদেব, অশ্বত্থামা, কৃপাচার্য, পরশুরাম, হনুমান ও বিভীষণ। এমন ছলনার পর বলিকে কিছুটা করুণা দেখিয়ে বিষ্ণু বলেন, প্রতি বছর রাক্ষস রাজ ও তার সাক্ষপাঙ্গের পুজো হবে পৃথিবীতে। সেই পুজোর তিথিই হল ভূত চতুর্দশী।

আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল

আরো পড়ুন :- DA : জানুন ডিএ বৃদ্ধির পর রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের বেতনের ফারাক কত হল ?

আরো পড়ুন :- দুর্গাপূজা : ষ্টার হিন্দু ক্রিকেটারকে হুমকি, ইসলাম গ্রহণ করতে চাপ

আরো পড়ুন :- শুভেন্দুর পিছনে ২০ কোটি টাকা খরচ করেছে মমতা, দাবি শুভেন্দুর

আরো পড়ুন :- মমতার মিম বানিয়ে গ্রেফতার যুবক ! বিরোধীদের দাবি, বাক স্বাধীনতা খণ্ডনের চেষ্টা

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন