Bangla News Dunia , Rajib : কোন বাড়িতে ঝগড়া-অশান্তি হয় না বলুন তো? কখনও মতের অমিল হওয়ায় দিদি-বোনের মধ্যে ঝামেলা হচ্ছে। আবার কখনও রাত করে বাড়ি ফেরাতেও বচসা বাঁধছে মা-ছেলের মধ্যে। আবার স্বামী বাজার থেকে কোনও সবজি আনতে ভুলে গেলেও ছোটখাটো ঝামেলা বেঁধে যায় দু’জনের মধ্যে। আবার কখনও সঙ্গীর সঙ্গে তুমুল অশান্তি হয় কোনও বিষয় নিয়ে। রোজকার জীবনে ছোটখাটো ঝামেলা-অশান্তি লেগেই থাকে।
কিন্তু ঝামেলা যদি বাড়তে থাকে, গলার স্বর যদি উচ্চ হতে থাকে তখনই বিপদ। তিক্ততায় ভরা ঝগড়া কখনওই ভালো নয়। এটি যে কোনও সম্পর্ককে নষ্ট করে দেয়। আবার রাগের মাথায় এমন কথা বলে ফেললেই বিপদ। বিশেষত এমন কথা যা একেবারেই বলা উচিত নয়। এমন পরিস্থিতি আসার আগে নিজেকে কী ভাবে সামলাবেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্পর্ক ভালো থাকতে পারে ‘৫ সেকেন্ড রুল’ মেনে চললে। ৫ সেকেন্ড নিয়ম মানলে স্বামী-স্ত্রী হোক বা শাশুড়ি-বউমা সবার মধ্যেই সম্পর্ক ভালো থাকতে পারে।
আরো পড়ুন :- বিয়ের জন্য ছুটি না পেয়ে Whatsapp ভিডিও কলেই শুভ পরিণয় সারল বর-কনে
আরো পড়ুন :- স্টেশনে ট্রেন ঢোকার আগে দিতে হয় ঘুষ! ভারতেই চলে এই আজব নিয়ম, ভাইরাল ভিডিও
কী এই ৫ সেকেন্ড রুল?
যে কোনও ঝগড়া বা বচসার মাঝে ৫ সেকেন্ডের বিরতি নেওয়াই হলো ৫ সেকেন্ড রুল। ঝগড়া শুরু হলে সহজে থামতে চায় না। কথার উপর কথা চলতে থাকে। এই সময় ৫ সেকেন্ডের বিরতি নিন। এই ৫ সেকেন্ড একে-অপরকে কোনও কথা বলবেন না। এটাই হলো ৫ সেকেন্ড রুল।
৫ সেকেন্ড রুল কী কাজ করে?
ঝগড়া করার সময় দেহে উত্তেজনাও বেড়ে যায়। জোরে কথা বলা, চিন্তাভাবনা না করে কথা বলার প্রবণতা বেড়ে যায়। কিন্তু ৫ সেকেন্ডের বিরতি নিলে এ সব সমস্যায় পড়বেন না। সাইকোলজিস্টদের মতে, যদি আপনি কোনও ঝগড়া বা কথোপকথনের মাঝে ৫ সেকেন্ডের বিরতি নেন, তা হলে নেগেটিভ চিন্তাভাবনা, উত্তেজনা কমে যায়। ইমোশনকে কাবু করতে পারেন সহজে। ৫ সেকেন্ড রুল মেনে চললে সম্পর্ক কোনও তিক্ততায় ভরবে না। পাশাপাশি ঝগড়া হলেও একে-অপরকে কোনও কটু কথা বলবেন না।