Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : মহা শিবরাত্রি ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হবে। এটা দেবাদিদেব মহাদেব ‘শিবের মহা রাত্রি’। হিন্দু শৈব সম্প্রদায়ের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান। অজ্ঞতা দূর করার জন্য এই ব্রত পালন করা হয়। এই দিন শিবলিঙ্গে গঙ্গাজল, দুধ, বেলপাতা, ফুল দিয়ে পুজো করেন। সব ব্রতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হল এই মহা শিবরাত্রি। ব্রতের আগের দিন ভক্তগণ নিরামিষ খাবার খান। ব্রতের দিন তাঁরা উপবাসী থাকেন। রাত্রিবেলা চার প্রহরে শিবলিঙ্গকে দুধ, দই, ঘি, মধু ও গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করান।
বেলপাতা, নীলকন্ঠ ফুল, ধুতুরা, আকন্দ, অপরাজিতার মতো ফুল দ্বারা পুজো করা হয়। আর মহামন্ত্র— ‘ওঁ নমঃ শিবায়’ জপ করা হয়। মহাশিবরাত্রি অনুষ্ঠানে ভারতবর্ষের বারোটি জ্যোতির্লিঙ্গ তথা সোমনাথ, মল্লিকার্জুন, মহাকালেশ্বর, ওঁকারেশ্বর, কেদারনাথ, ভীমশঙ্কর, বিশ্বেশ্বর, ত্র্যয়ম্বকেশ্বর, বৈদ্যনাথ, নাগেশ্বর, রামেশ্বর ও ঘুশ্মেশ্বরে বহু মানুষের সমাগম ঘটে।
ব্রতকথা অনুযায়ী শিবরাত্রি ব্রতের ব্যাখ্যা করেছিলেন মহাদেব স্বয়ং। এই ব্রত পালন করলে নাকি মেয়েদের সব কামনা বাসনা পূর্ণ হয়। মেয়েরা যা চায়, যেমন – ভাল স্বামী, সুন্দর পুত্র ও সাংসারিক মঙ্গল। মধ্যযুগের এই ব্রতের প্রচলন হয়, সেখানে মেয়েদের মধ্যে সধবা বা বিধবা যাই হোক না কেন সব বয়সের মহিলারাই এই পুজো করতেন। অনেকে মনে করেন শিবরাত্রি শুধু মেয়েদের জন্য। আদতে মোটেও তা নয়। ছেলেরাও শিবরাত্রি করতে পারেন। করেনও। আসলে প্রথম শিবরাত্রি কিন্তু একজন পুরুষই করেছিলেন। গল্পও শুনিয়েছেন স্বয়ং শিবই।
ফলে নারী পুরুষ উভয়েই এই উৎসবে মেতে ওঠেন। ভগবান শিব শম্ভুর ওই বিশেষ দিনে তার আরাধনা করা হয় যাতে তার আশির্বাদ লাভ করা যায়। তাই সব মিলে দেবাদিদেব মহাদেবের চরণে নিজের মন কামনা রাখে।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল