Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : দীপাবলি মানে আলোর ঝলকানির, রোশনাই সাথে বাজি এবং পটকা। বিশেষ করে কালী পুজো মানেই আতশবাজি। বেশ কয়েক বছর হল সরকারের তরফ থেকে পুজোয় আতশবাজি কিংবা শব্দবাজি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাজির কথা উঠলে পরে মনে আসে বুড়িমার চকলেট বাজির কথা ৪০ থেকে ৯০-র ছেলেদের কাছেই প্রিয় ব্র্যান্ড ছিল একসময় “বুড়িমার চকলেট”, আসলে বাজি বানানোর পিছনে ছিলেন একজন নারী।
আরো পড়ুন :- ৫০০০ টাকা করে দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ?
আসলে “বুড়িমার বাজি” অর্থাৎ এই বুড়িমার আসল নাম হলো অন্নপূর্ণা দেশ যিনি বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন তবে দেশভাগের সময় তিনি এপার বাংলায় চলে আসেন। আশ্রয় হয়েছিল পশ্চিম দিনাজপুরের ধলদিঘী সরকারি ক্যাম্পে। এর পরেই তার জীবনে আসে আসল সংগ্রাম।
আরো পড়ুন :– আগামী দিনে ২৫% বিদ্যুৎ বিল কম আসবে আপনার !
স্বামীকে হারানোর পর প্রথম দিকে তার জীবনে যেন এক বেঁচে থাকার লড়াই শুরু হয়। জীবন কাটানোর জন্য তিনি প্রথমে সবজির ব্যবসা শুরু করেছিলেন। গঙ্গারামপুর থেকে সোজা বেলুড়ে এবং সেখানেই শুরু করেন বিড়ি বাঁধাইয়ের কাজ। ৯০০ টাকা দিয়ে একটি দোকান কেনেন আর ব্যবসাশুরু করেন।
আরো পড়ুন :- ভোট-খরচে : গোয়ায় বিজেপিকেও হারিয়ে দিল তৃণমূল !
আস্তে আস্তে শুরু করেন বাজির ব্যবসা। পুলিশের অনুমতি দরকার, সেই অনুমতি না থাকার জন্য প্রথম দিকে তার দোকান পুলিশে ভেঙে দেয়। পরে তিনি সমস্ত কিছুর অনুমতি নিয়ে বাজে বিক্রি শুরু করেন। তবে বাজি বিক্রি করলেও বাজি তৈরি করতে কিন্তু তিনি পারতেন না। বাজি তৈরি করার কাজে তাকে প্রথমে সাহায্য করেছিল বাঁকুড়ার আকবর আলি।
বাজি তৈরি শেখার পরেই একদম কেল্লাফতে। বাজারে চলে এলো নতুন ব্র্যান্ড “বুড়িমা”। চারিদিকে বুড়িমার চকলেট বোম এর আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ল ডানকুনিতে জমি কিনে রমরমিয়ে চলল ব্যবসা। বর্তমানে তিনি নেই কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁর সেই ব্র্যান্ড অর্থাৎ “বুড়িমার চকলেট” কিন্তু মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল
আরো পড়ুন :- DA : জানুন ডিএ বৃদ্ধির পর রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের বেতনের ফারাক কত হল ?
আরো পড়ুন :- দুর্গাপূজা : ষ্টার হিন্দু ক্রিকেটারকে হুমকি, ইসলাম গ্রহণ করতে চাপ
আরো পড়ুন :- শুভেন্দুর পিছনে ২০ কোটি টাকা খরচ করেছে মমতা, দাবি শুভেন্দুর
আরো পড়ুন :- মমতার মিম বানিয়ে গ্রেফতার যুবক ! বিরোধীদের দাবি, বাক স্বাধীনতা খণ্ডনের চেষ্টা