স্বামী বিবেকানন্দের সংক্ষিপ্ত জীবনী ! দেখুন বিস্তারিত

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Updated on:

Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : বিরোধ নয়, সহায়তা, বিনাশ নয়, পরস্পরের ভাবগ্রহণ, মতবিরোধ নয়, সমন্বয় ও শান্তি।‘ এমন কথা বলতেন স্বামী বিবেকানন্দ। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলের কাছে যথেষ্ট শ্রদ্ধার পাত্র।

স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম কলকাতার শিমুলিয়ায় ১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি। তার পারিবারিক নাম নরেন্দ্রনাথ দত্ত আর ডাক নাম বিলে। বাবা বিশ্বনাথ দত্ত আইনজীবী ও মা ভুবনেশ্বরী দেবী গৃহিনী। পারিবারিক পরিবেশে সাহিত্য, দর্শন, ইতিহাস প্রভৃতি বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞানার্জন করেন। ১৮৭৯ সালে প্রথম বিভাগে এন্ট্রান্স পাস করেন। প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে ১৮৮৪ সালে বিএ পাস করেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তার শিক্ষাজীবন বারবার ব্যাহত হয়।

১৮৮১ সালের নভেম্বর মাসে তাদের পাড়ায় সুরেন্দ্রনাথ মিত্রের বাড়িতে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের আগমন ঘটে। যেখানে ভজন গেয়ে তার নজরে পড়েন বিবেকানন্দ। পরিচয়ের পর থেকে তার ওপর রামকৃষ্ণের প্রভাব বাড়তে থাকে। অন্তর্ধানের আগে রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দসহ আরও কয়েকজন কিশোর ভক্তকে সন্ন্যাস দিয়ে যান। গুরুজীর অন্তর্ধানের পর তিনি সংসার ত্যাগ করে রামকৃষ্ণ মঠে আশ্রয় নেন। ১৮৯১ সালের দিকে ক্ষত্রিয় মহারাজ তাকে স্বামী বিবেকানন্দ নামে ভূষিত করেন।

এরপর থেকে ৩ বছরের বেশি সময় ভারত ভ্রমণ করেন। ১৮৯৩ সালে আমেরিকার শিকাগোতে বিশ্ব ধর্মসভায় বক্তৃতা দিয়ে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। তার লেখা বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- কর্মযোগ , বেদান্ত ফিলোজফি , পরিব্রাজক , ভাববার কথা , বর্তমান ভারত এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য।
বিবেকানন্দ ত্যাগ ও বৈরাগ্যের চিরন্তন আদর্শ। স্বামীজীর চেতনা মানুষকে নানাভাবে উদ্দীপ্ত করে। তার জীবন দর্শন ছিল পৃথিবীর সকল মানুষের, সকল সমাজের, সকল শ্রেণীর সঙ্গে ঐক্য প্রতিষ্ঠা।

১. আমার জীবনের ব্রত কি- তা আমি জানি, আর কোনো জাতি বিশেষের ওপর আমার তীব্র বিদ্বেষ নেই। আমি যেমন ভারতের, তেমনি সমগ্র জগতের।

২. টাকায় কিছু হয় না, নাম-যশে কিছু হয় না, বিদ্যায় কিছু হয় না, চরিত্রই বাধা-বিঘ্নের বজ্রদৃঢ় প্রাচীর ভেদ করতে পারে।

৩. চরম লক্ষ্যে পৌঁছিবার একমাত্র উপায়- নিজেকে এবং সকলকে বলা যে, আমিই সেই (ব্রহ্ম), পুনঃ পুনঃ এইরূপ বলিতে থাকিলে শক্তি আসে। এই অভয়বাণী ক্রমশ গভীর হইতে গভীরতর হইয়া আমাদের হৃদয় অধিকার করে। যখন সমূদয় অজ্ঞান একেবারে চলিয়া যায় এবং একমাত্র জ্ঞানসূর্যই অবশিষ্ট থাকে।

৪. নিজের ওপর বিশ্বাস ঈশ্বরের ওপর বিশ্বাস। ইহাই উন্নতি লাভের একমাত্র উপায়। নিজের ওপর বিশ্বাসসম্পন্ন হও- সেই বিশ্বাসবলে নিজের পায়ে নিজে দাড়াও এবং বীর্যবান হও।

৫. সত্যের জন্য সব কিছু ত্যাগ করা চলে কিন্তু কোনো কিছুর জন্যই সত্যকে বর্জন করা চলে না।

আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন