Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : প্রাচীনতম ধর্মের কথা বললে হিন্দু ধর্মকে উল্লেখ করা হয়। তবে প্রথমেই এর নাম হিন্দু ধর্ম ছিল না। এর প্রাচীন নাম ছিল সনাতন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এই দেশে হিন্দু ধর্ম কোনও একজন ব্যক্তির মতাদর্শের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠেনি। ভারতের ভিন্ন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও মতাদর্শ নিয়েই জন্ম নিয়েছে এই বিশেষ বিচিত্র ধর্ম।
আরো পড়ুন :- এরদোগানের ভারত বিরোধিতার দাম দিতে হচ্ছে তুর্কির জনসাধারণকে !
খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ থেকে ৫০০-এর মধ্যের সময়টি পরিচিত বৈদিক যুগ নামে। সেই যুগের পর অর্থাৎ খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ থেকে ৩০০-এর মধ্যে দেশে হিন্দুত্বের জন্ম হয়। যার মূল কথা, সৃষ্টি বা বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডে যা যা রয়েছে, সেসবের মূলেই ঈশ্বর। ধর্ম, অর্থ, কর্ম ও মুক্তিতেই বিশ্বাসী ধর্মাবলম্বীরা। এটাই বিশ্বাস, ভগবানের অস্তিত্বে সবকিছুর অস্তিত্ব। ইতিহাস বিশেষজ্ঞদের মতে, আর্য জাতি গোষ্ঠী হিন্দুকুশ পর্বত পার করে ভারতে প্রবেশ করে। তারাই ভারতে বেদ চর্চা শুরু করে। ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ে।
এবার প্রশ্ন হল, হিন্দু শব্দটি কোথা থেকে এল ? কারণ সিন্ধু নদের তীরবর্তী সনাতন ধর্মের সাধু-সন্ন্যাসীদের হিন্দু বলে উল্লেখ করা হত। সেখান থেকেই নামটি প্রচলিত হয়ে ওঠে। সনাতন ধর্মের মানুষের বেদ, উপনিষদ, ভগবত গীতা শ্রুতিবদ্ধ করেছিলেন। যা পরবর্তীকালে লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল।
বেদের নিয়ম মেনেই সমাজের বিভিন্ন কাজ করা হয়। চিকিৎসা, সমাজ চালনা, গণনার মতো কাজগুলি যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। সভ্যতা বৈদিক সভ্যতা হিসেবে পরিচিত। আর্য জাতির লোকেরা মূলত ৪টি সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল। ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র। কাজের ভিত্তিতে সম্প্রদায় ভাগ করে নেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীকালে যা হিন্দু সমাজের রীতিতে পরিণত হয়েছে।
আরো পড়ুন :- Good News : ভারতের AMCA ফাইটার জেট প্রজেক্টে যুক্ত হতে চায় ব্রিটেন
সেই সময় কোনও মূর্তি পুজোর চল ছিল না। ছিল না কোনও মন্দিরও। ইন্দ্র, বরুণ, অগ্নি এবং সোম, এই দেবতারা যজ্ঞ এবং বেদ পাঠের মধ্য দিয়ে পূজিত হতেন। বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কাজের আগে যজ্ঞ করা আবশ্যক ছিল। অনেক পরে রামায়ণ ও মহাভারত প্রথমে শ্রুতিবদ্ধ এবং পরে লিপিবদ্ধ হয়। বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ধর্ম এটি। গোটা বিশ্বের ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মাবলম্বী। পাশাপাশি নেপাল এবং মরিশাস ও ইন্দোনেশিয়াতেও এর বিস্তৃতি রয়েছে।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল