হেয়ার ড্রায়ারে বোমা! প্রেমিকার প্রতিবেশিকে মারতে গিয়ে উড়ে গেল প্রেমিকারই দুই হাত

By Bangla News Dunia Rajib

Published on:

bom

Bangla News Dunia , Rajib : প্রেমিকার প্রতিবেশিকে হত্যা করার জন্য, তাঁকে বিস্ফোরক ভরা হেয়ার ড্রায়ার পাঠিয়েছিল এক ব্যক্তি। ভাগ্যের নিষ্ঠুর পরিহাসে, সেই হেয়ার ড্রায়ারে বিস্ফোরণ ঘটে গুরুতর আহত হয়েছেন তার প্রেমিকাই। এমনটাই দাবি পুলিশের। এই অপরাধে জড়িত সন্দেহে, শুক্রবার ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের বাগালকোট জেলার ইলকাল থানা এলাকায়। ইলকাল পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তর নাম সিদ্দাপ্পা শীলাবন্ত। তিনি কপ্পল জেলার কুর্তাগেরি গ্রামের বাসিন্দা। প্রেমিকা বাসবরাজেশ্বরীর প্রতিবেশী, শশীকলাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গত ১৫ নভেম্বর বিস্ফোরক ভরা ওই হেয়ার ড্রায়ারটি পাঠিয়েছিল সে।

প্যাকেজটি যখন তাদের বাড়িতে এসেছিল, সেই সময় ছিলেন না শশীকলা। তিনি কোনও অর্ডার না করলেও, একটি প্যাকেজ এসেছে জেনে বাসবরাজেশ্বরীকেই তিনি সেটি গ্রহণ করতে বলেছিলেন। বাসবরাজেশ্বরীও কোনও দ্বিধা না করে, প্যাকেজটি নিয়েছিলেন। তবে, কে সেটি পাঠিয়েছে, তার ভিতরে কী আছে, শশীকলা কিছু না জানাতে পারায় কৌতূহল হয়েছিল তাঁর। তাই পরের দিন, ১৬ নভেম্বর তিনি প্যাকেজটি খুলেছিলেন। তার পর, সেটি চালু করতেই প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। তার অভিঘাতে, বাসবরাজেশ্বরীর দুই হাতের সামনের দিকের অনেকটা করে অংশ উড়ে যায়। তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনও তিনি হাসপাতালে ভর্তি, তাঁর চিকিৎসা চলছে।

আরো পড়ুন:- ২১৩ কোটি জরিমানা, ৫ বছর ব্যান! ভারতে বড় ধাক্কা খেল Meta

বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছিল ইলকাল পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তারা মনে করেছিল, কোনও বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণে তাতে বিস্ফোরণ ঘটেছে। কিন্তু হেয়ার ড্রায়ার পরীক্ষা করতেই তারা বুঝতে পারে, তার মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল। বাগালকোটের পুলিশ সুপার, অমরনাথ রেড্ডি জানিয়েছেন, আরও তদন্ত করে তারা জানতে পেরেছিলেন, শীলবন্তই সেটি পাঠিয়েছিল। সে দেখাতে চেয়েছিল, প্যাকেজটি অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, পুলিশি তদন্তে জানা যায়, ইলকালেরই একটি দোকান থেকে ৫০০ টাকা দিয়ে সেটি কিনেছিল শীলাবন্ত। কিন্তু, তাতে বিস্ফোরণ ঘটানোর কায়দা সে জানল কী করে?

পুলিশ জানিয়েছে, সে একটি গ্রানাইট সংস্থায় কাজ করে। তাই বিস্ফোরণ ঘটানোর কৌশল তার অজানা ছিল না। সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়েই সে হেয়ার ড্রায়ারটিতে গ্রানাইট খনিতে ব্যবহৃত বিস্ফোরক ও ডেটোনেটর ভরে দিয়েছিল সে। জিনিসটিকে এমনভাবে নকশা করেছিল, যাতে সেটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ করলেই বিস্ফোরণ ঘটে।

শশীকলাকে কেন মারতে চেয়েছিল সে? পুলিশ জানিয়েছে, বাসবরাজেশ্বরী এবং শশীকলা – দুজনেই বিয়ে করেছিলেন সেনাকর্মীদের। দুর্ভাগ্যবশতঃ দুজনের স্বামীই নিহত হয়েছেন। এরপর এক অনুষ্ঠানে দুজনের দেখা হয়েছিল, সেখানেই দুজনের বন্ধুত্বও হয়। তাঁরা পাশাপাশি বাড়িতে থাকা শুরু করেন। ইতিমধ্যে, শীলাবন্তের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয় বাসবরাজেশ্বরীর। তাদের সম্পর্ক দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চললেও, শশীকলা এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি। তিনি বাসবরাজেশ্বরীকে শীলাবন্তর সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করার জন্য চাপ দিতেন। সেটা জেনেই, শশীকলার উপর খেপে গিয়েছিল শীলাবন্ত এবং তাঁকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যার জেরে শেষ পর্যন্ত ক্ষতি হয়েছে তার প্রেমিকারই।

আরো পড়ুন:- ২৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ নবান্নর, উপকৃত হবেন ১ কোটি ৭ লক্ষ মানুষ, বড় প্রকল্প রাজ্য সরকারের

এই রকম খবর পেতে দয়া করে আমাদের চ্যানেল ফলো করুন

আরো পড়ুন :- মণিপুর সংকটের অবসানে চাই হস্তক্ষেপ, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি খাড়গের

আরো পড়ুন :- সরল বাধা, পার্পল লাইনে দুরন্ত গতিতে হবে মেট্রোর কাজ! জোকা-বিবাদী বাগ রুট নিয়ে সুখবর

আরো পড়ুন :- বন্দে ভারতের খাবারে পোকা! অভিযোগ উঠতেই ক্যাটারিং সংস্থাকে ৫০ হাজার ফাইন রেলের

Bangla News Dunia Rajib

মন্তব্য করুন