জয় রায় :- ৪০ বছরের পর ডিম, বেগুন , চিংড়ি মাছ , কাঁকড়া , কাঁচা নুন ,বোয়াল মাছ ,ইলিশ মাছ ,ডালের বড়ি ,বিভিন্ন নোনা জলের মাছ খাবেন না। এই গুলি বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করে। এই বয়সে নিরামিষ খাওয়া ভালো।
নিরামিষের মধ্যে কি কি খাবেন – থোড় , মোচা , কাচ কলা , ডুমুর , সজনের ডাটা , গরুর দুধ , ছানা , কাঁচা ডিম্ , আম ,শাপলা ,কচুর লতি , চাল কুমড়ো , মানকচু ও ওল ইত্যাদি। রোজরাতে শুতে যাবার আগে এক চামচ মধু খাবেন। শুধু ডাল কখনো খাবেন না। সাথে একটু সবজি অবশ্যই খাবেন। যেমন -উঠছে , করলা ,কাচ কলা , পেঁপে ,পটল , স্বজনের ডাটা , কুমড়ো , লাউ মূলো ইত্যাদি। কোনো আনাজ না থাকলে এক কোয়া রসুন অথবা কাঁচা লঙ্কা দিলেও উপকার পাবেন। তবে ডালের সাথে সবজি কখনই দেবেন না।
যাদের প্রচুর ক্ষয় হয়েছে শরীর থেকে এবং খুব অল্প বয়স থেকে এই ক্ষয় শুরু হয়েছে তাদের উচিত প্রত্যেক দিন একটা করে দেশি টমেটো ,বিনের তরকারি ,মুলাশাক ,এক চামচ করে মধু , পাটশাক , ঢেঁড়স ডালে দিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
৪০ বছর হলে আটা ছেলে খাবেন না। আটা না চেলে খেলেই উপকার। প্রত্যেক সাত দিন অন্তর এক দিন দুধ আর খই খাবেন। দুধ , খই , আখের গুড় ভীষণ উপকারী। রুটি দুধে ভিজিয়ে খেলে ভীষণ উপকার হয়।
অর্শ রোগীরা শক্ত ভাত খাবেন না। প্রতিদিন মূল ত্যাগের পর যদি নারকেল তেল মল দ্বারে ব্যবহার করেন তবে উপকার পাওয়া যায়।
উচ্চ রক্ত চাপের রোগীরা প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে হাঁটাহাঁটি করুন উপকার পাবেন। নদী বা পুকুরে ডুব দিয়ে গোসল করলে উপকার হয়ে থাকে।
লো প্রেসারের রোগীদের বিশ্রামের প্রয়োজন বেশি। লো প্রেসার রোগীরা উপবাস একদম করবেন না। পরিশ্রম ছাড়া হজম সম্ভব নয়। আর পরিশ্রম ছাড়া প্রচুর খাওয়া দাওয়া করলে কিন্তু অম্বল হবে। ঘাড় ব্যাথা, মাথায় ব্যাথা ,পেট ফাঁপা ইত্যাদি রোগ হবেই হবে।
দিনের বেলা ঘুমোবেন না। রাতে খাবারের পর আধ ঘন্টা হাঁটাহাঁটি করে তার পরেই ঘুমোতে যান। পায়খানার রং কালো হয়ে গেলে ডিম আর খাবেন না অথাৎ কিছুদিনের জন্য ডিম খাওয়া বন্ধ রাখুন। বেশি তেলে ভাজা খাবেন না। যাদের প্রচন্ড অম্বল হয় তারা খাবারের সাথে স্যালাড খাবেন। রাতে একটু হাতাহাতি করে তবেই ঘুমোতে যাবেন।
টক খাবেন। এসিড যেমন ময়লা পরিষ্কার করে ত্বক তেমন পেট পরিষ্কার করে। যেমন – চালতার টক।,ছোট আমড়া ইত্যাদির টক খাবেন।
যাদের বাত আছে তাঁর মেঝেতে ঘুমোবেন না। ডিম আর ভেড়ার মাংস খাবেন না। প্রতিদিন গোসলের আগে প্রতিটি জয়েন্টে সর্ষের তেল মালিশ করে গোসল করবেন। যেমন – হাঁটু ,কোমড় ,গোড়ালি বা যেখানে বাতের ব্যাথা আছে সেখানে। প্রত্যেক মানুষের উচিত প্রতিদিন কমকরে ২ থেকে ৩ কিলোমিটার পথ হাঁটা। যারা দোকানদার বা চেয়ারে বসে কাজ কর্ম করেন তাদের জন্য হাঁটা অবশ্যই প্রয়োজন। প্রত্যেক বাচ্চাকে খাবারের সাথে স্যালাড খেতে দেবেন তাতে হাঁটুর শক্তি ঠিক থাকবে , বিদেশে বিশেষ ভাবে আর প্রচলন আছে। বিশেষ করে বায়ু দূষণের জন্য।
গরুর দুধ যাদের সহ্য হয় না তারা ছানা বানিয়ে খাবেন। মুরগির মাংস ছাড়া অন্য কোনো মাংস খাবেন না। দুপুরে পারলে ভাত এবং রুটি মিশিয়ে খাবেন। রাতে ভাত খাবেন না। দুপুরে ভাত খাবার পর এক টুকরো সাদা পান সর্বদা খেলে উপকার পাওয়া যায়। জর্দা , গুটকা ,দোক্তা ,কিমাম , ভাজা সুপারি বর্জন করুন। পানের সাথে খয়ের খাবেন এতে চর্ম রোগে উপকার হয়। পানের সাথে চুন খাবেন এতে অতিরিক্ত কৃমি নাশ হয়। অতিরিক্ত মদ্য পান করবেন না আর রাত্রি জাগবেন না। বেশি বয়সে অত্যাধিক পরিমানে খাওয়া হার্টের পক্ষে ক্ষতিকারক। যাদের হাঁপানি রোগ আছে তাঁর বেশি কথা না বলাই ভালো , তারা কাঁকড়া খাবেন না , তারা দুপুর ১২ টার মধ্যে ঠান্ডা গরম জলে গোসল করে নেবেন। গোসলে শরীরে জল ঢালা শুরু করবেন প্রথমে পা থেকে তার পর আসতে আসতে শরীরের উপরের দিকে জল ঢালবেন এবং সব শেষে মাথায় জল ঢালবেন।