Bangla news Dunia, অজয় দাস :- বর্তমানে সকলেরই ঘুম কমে গেছে। সঠিক করে বলতে ঘুমে বাধার সৃষ্টি হয়েছে তাই ঘুম কমে গেছে। কারণ বর্তমানে কাজ এখন রাত পর্যন্ত করা হয়। আর এখনকার জীবন যাপনের ধরণ পাল্টে গেছে। কেউ কাজে ব্যাস্ত থাকে ,কেউ পড়ায় ব্যাস্ত থাকে , কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় বা ফোনে ব্যাস্ত থাকে আর তার ফলেই সঠিক সময়ে ঘুম হয় না বা ঘুম কম হয়।
বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যারা কম ঘুমায় বা যারা বেশি ঘুমায় তারা অন্যদের থেকে বেশি রোগে আক্রান্ত হয়। ও যারা কম ঘুমায় তারা মোটা ও হয়ে যেতে পারে। তাই এখনই সাবধান হন।
আপনি যদি কম ঘুমিয়ে থাকেন তবে চেষ্টা করুন কম করে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাবার বা বেশি ঘুমিয়ে থাকেন তবে ঘুম কমিয়ে ৮ ঘন্টার মধ্যে আনার চেষ্টা করুন। এতে শরীর সুস্থ থাকবে।
[ আরো পড়ুন :- সর্বনাশে দুনিয়া। কমছে স্প্যাম কাউন্ট। এখুনি সাবধান হন না হলেই বিপদ ]
একটি গবেষণায় বলা হয়েছে বাচ্চাদের কম ১৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত আর ১৩ বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের ১১ ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন আর ১৩ থেকে ১৯ বছর পর্যন্ত বয়সের ছেলে মায়েদের প্রতিদিন ১০ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। কারণ এই সময় মানব শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ , নার্ভ , মস্তিস্ক বিস্তার লাভ করে তাই এই বয়স পর্যন্ত সঠিক পরিমানে ঘুম খুবই দরকার।
আর আপনার বয়স যদি ১৯ এর বেশি হয় তবে আপনার কম করে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো দরকার। কম ঘুমের ফলে মস্তিষ্কে চাপ সৃষ্টি হয় ও আপনার স্মরণ শক্তি কমতে পারে ও শরীরের স্বাভাবিক কাজে বাধা সৃষ্টি হতে পারে কারণ ঘুমের সময় আমাদের শরীর বিশ্রাম নেয়। প্রতিটি মানুষের সুস্থ থাকার জন্য বিশ্রাম নেওয়া দরকার। তবে বেশি পরিমানে বিশ্রাম শরীরের পক্ষে ক্ষতিও হতে পারে। নিজের শরীর বুঝে বিশ্রাম নিন।
গবেষণায় দেখা গেছে কম ঘুমের কারণে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষের উপর গবেষণায় দেখা গেছে কম ঘুমের কারণে ডায়াবেটিস , হার্টের আসুক , উচ্চ রক্তচাপ ও মোটা হয়ে যাবার প্রবণতা আছে।
গবেষণায় দেখা গেছে সঠিক পরিমানে ঘুম হলে খিদা বাড়ে যা শরীর সুস্থ রাখে ও শরীর সুগঠিত করে। এছাড়া ঘুম কমের ফলেশরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ও কঠিন রোগে পড়ার সম্বাভনা থাকে। কম ঘুম হলে শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে দেয় যা আসতে আসতে আপনাকে ডায়াবেটিসের দিকে নিয়ে যেতে পারে।