MSME Loan প্রকল্পে ব্যবসা করতে ২ লক্ষ টাকা দিচ্ছে সরকার, আবেদন করলেই সরকারি সাহায্য পাবেন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

 

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ভারতবর্ষের বেকারত্বের হার কমানোর উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকার শুরু করল MSME Loan Scheme প্রকল্প। এই এমএসএমই ঋণ এর মাধ্যমে দেশের বেকার ও যুবক-যুবতীরা চাকরির প্রচেষ্টার পাশাপাশি নিজেদের ক্ষুদ্র, ছোট অথবা মাঝারি ব্যবসা (Micro and small finance business loan) শুরু করে নিজের ভবিষ্যৎকে সফলভাবে গড়ে তুলতে পারেন। যে কোন ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রেই অল্প বিস্তর মূলধনের প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর এবার সেই মূলধনের টাকা যোগান দেবে খোদ কেন্দ্রীয় সরকার।

MSME Loan Scheme

কেন্দ্র সরকারের তরফে MSME Loan Scheme এর মাধ্যমে ৫০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণ করা যাবে। অল্প সুদে এবং একাধিক সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে এই লোন পাবেন দেশের যুবক যুবতীরা। নিজের ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন পূরণের উদ্দেশ্যে এই ঋণ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জেনে নিন এখনই।

বর্তমানে শিক্ষার হার যে বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে, সেই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে কেন্দ্রীয় সরকার কিংবা কোন বেসরকারি সংস্থায় শিক্ষার হার বৃদ্ধির সমানুপাতিক হারে বাড়েনি কর্মী নিয়োগের পরিমাণ। এর ফলে এই দেশ জুড়ে বিপুল সংখ্যক যুবক-যুবতী বেকারত্বের সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই করে যাচ্ছেন। এই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার এবার দেশের শিক্ষিত যুবক যুবতীদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার দায়িত্বভার তুলে নিয়েছে নিজের কাঁধে।

What Is MSME And MSME Loan?

যে সমস্ত যুবক-যুবতীরা বর্তমানে ব্যবসার দিকে এগিয়ে যেতে চাইছেন, তাদের ব্যবসার ছোট স্তর থেকে পাশে থাকবে ভারত সরকার। এই উদ্দেশ্যেই ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি (MSME) ব্যবসার জন্য ঋণ দেওয়ার এই প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। MSME কথার পুরো অর্থ হলো- Micro Small And Medium Enterprises. ভারত সরকারের দ্বারা ২০০৬ সাল থেকে MSME আইনের মাধ্যমে ভারত বর্ষ জুড়ে গড়ে ওঠা ছোট এবং মাঝারি শিল্পগুলিকে একত্রিত করা হয়। বর্তমানে MSME হয়ে উঠেছে দেশের শিল্পের মেরুদন্ড। এর মূল কারণ হলো, বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ ভারতবর্ষের বেশিরভাগ ইন্ডাস্ট্রিয়াল GDP পাওয়া যায় এই এম এস এম ই সেক্টর থেকে।

কি কি ধরনের MSME Loan পাওয়া যায়?

MSME Loan এর ব্যাপারে বিশদে জানার আগে অবশ্যই ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে MSME সেক্টরের সম্পর্কে। মাইক্রো স্মল এবং মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ এর মধ্যে মূলত দেশের ছোটখাটো ব্যবসা বা শিল্পগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ

দেশের যে সমস্ত সংস্থাগুলির অ্যানুয়াল ইনভেস্টমেন্ট এক কোটি টাকা এবং টার্নওভার পাঁচ কোটি টাকার মধ্যে, তাদেরকে মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ বা ক্ষুদ্র শিল্প এর অন্তর্গত করা হয়েছে।

স্মল এন্টারপ্রাইজ

ছোট বা স্মল এন্টারপ্রাইজ এর মধ্যে সেই সমস্ত সংস্থাগুলি পড়ে, যাদের বার্ষিক ইনভেস্টমেন্ট ১০ কোটি টাকা এবং টার্নওভার ৫০ কোটি টাকার মধ্যে।

মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ

যে সমস্ত কোম্পানির বার্ষিক বিনিয়োগ ৫০ কোটি টাকা এবং বার্ষিক আয় ২৫০ কোটি টাকার মধ্যে, তাদেরকে মাঝারি বা মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ এর আওতায় ফেলা হয়েছে।

অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন, দেশের উঠতি কোম্পানিগুলি MSME এর আওতায় রয়েছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে শিল্প ভেদে বিভিন্ন পরিমাণে ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হয় কোম্পানির মালিকদের। মূলত ব্যবসার অগ্রগতি এবং দেশের ভবিষ্যতের উদ্দেশ্যেই এই প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

MSME Loan এ কত টাকা পাওয়া যাবে?

এমএসএমই ঋণের মাধ্যমে ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন পাওয়া যায়। ইতিমধ্যেই ভারতবর্ষের বিপুল পরিমাণে যুবক যুবতীর কেন্দ্রীয় সরকারের এই ঋণ নিয়ে নিজেদের ব্যবসা তৈরি করেছেন এবং সম্মানের সাথে সেই ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

এমএসএমই ঋণে আবেদনের যোগ্যতা

  • MSME Loan প্রকল্পে আবেদন জানানোর জন্য উদ্যোক্তার ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর থেকে ২২ বছরের মধ্যে হতে।
  • নামিদামি কোম্পানি ছাড়াও হস্তশিল্প বা ছোটখাটো শিল্পী কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাও এই প্রকল্পে আবেদন জানাতে পারেন।
  • আবেদনকারীর শিল্প থেকে বার্ষিক আয় অন্ততপক্ষে ২ লক্ষ টাকা হতে হবে।
  • এই ক্ষুদ্র ঋণের আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী হতে হবে
  • কমপক্ষে ৩ বছরের বর্তমান ব্যবসার অভিজ্ঞতা এবং ৫ বছরের যে কোন ব্যবসার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  • এই প্রকল্পে আবেদন জানানোর জন্য অবশ্যই আবেদনকারীর নাম Udayam পোর্টালে রেজিস্টার্ড থাকতে হবে।

MSME Loan এর সুবিধা

বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংক একাধিক ঋণ দিয়ে থাকেন তাদের গ্রাহকদের। তাহলে সমস্ত ঋণের সুযোগ সুবিধা ছেড়ে কেন কেন্দ্রীয় সরকারের MSME লোনের জন্য আবেদন জানাবেন, সেটি জেনে নেওয়া প্রয়োজন।

MSME Loan নিলে আপনি নিজের সুবিধামতো নূন্যতম ১২ থেকে সর্বোচ্চ ৬০ মাসের মধ্যে এই লোন শোধ করার সুযোগ পেয়ে যাবেন। এর পাশাপাশি এই লোনের জন্য কোন ধরনের কোন সম্পত্তি বন্ধক রাখার প্রয়োজন নেই। দেশের যুবক যুবতীদের ব্যবসার ক্ষেত্রে অনুপ্রাণিত করার উদ্দেশ্যে এই ঋণের সুদের হার অত্যন্ত কম রাখা হয়েছে এবং কোনরকম অতিরিক্ত ডকুমেন্টেশন ছাড়া লোন অ্যাপ্রভ হওয়া থেকে শুরু করে এর সার্ভিসের ব্যবস্থা যথেষ্ট পরিমাণে দ্রুত রাখা হয়েছে। সবমিলিয়ে ব্যবসায়ীদের তাৎক্ষণিক লোনের জন্য MSME এর এই ঋণ সবচেয়ে উপযোগী।

 

How to Apply for MSME Loan?

এমএসএমই ঋণে আবেদন জানানোর জন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে ইচ্ছুক ব্যবসায়ীদের আবেদন জানাতে হবে। নিচে আবেদনের সম্পূর্ণ ধাপ গুলি উল্লেখ করা হলো-

  • MSME এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
  • উপরে থাকা তিনটি লাইনের চিহ্নটিতে ক্লিক করে ড্রপ ডাউন লিস্ট থেকে MSME Loan বিকল্পটি বেছে নিন।
  • নতুন পেজ থেকে লোনের আবেদন পত্র পূরণ করুন এবং পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করুন।
  • প্রয়োজনীয় নথিপত্র স্ক্যান করে অনলাইনেই আপলোড করে দিন।
  • সবশেষে সরকারি বিধি নিষেধ গুলি ভালোভাবে পড়ে বুঝে নিয়ে Agree অপশনে ক্লিক করুন
  • চুক্তি স্বাক্ষর করে আবেদনটি জমা করে দিন।

 

উপসংহার

বর্তমানে ব্যাংক থেকে ব্যবসায়িক ঋণ নিতে গ্যারান্টার, বন্দক বা সিকুরিটি জমা দিতে হয়। তাই কেন্দ্র সরকারের এই ঋণ প্রকল্পে সহজেই একজন উদ্যোক্তা তার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তাই সরকারি সমস্ত নিয়ম মেনে আবেদন করলেই, যোগ্য ব্যক্তিরা এই ঋণ পেয়ে যাবেন।

আরও পড়ুন:- পতঞ্জলির শেয়ার কেনা আছে? তাহলে সুখবর আছে, জেনে নিন

আরও পড়ুন:- ভিড় সামাল দিতে অতিরিক্ত লোকাল চলবে শিয়ালদা শাখায়, কোন রুটে কত ট্রেন ? জেনে নিন

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন