Mutual Fund Investment: ২.৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে ২০৩৫ পর্যন্ত অপেক্ষা! কম্পাউন্ডিংয়ের জাদুতে মিলবে অবিশ্বাস্য রিটার্ন

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Mutual Fund Investment: অনেকেই ভাবেন শেয়ার বাজার বা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা মানেই ভাগ্যের খেলা। কিন্তু আসল খেলাটা লুকিয়ে আছে ‘সময়ের’ মধ্যে। আপনি কত টাকা বিনিয়োগ করলেন তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনি কতদিন সেই টাকা বাজারে খাটাচ্ছেন। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ‘কম্পাউন্ডিং’ বা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের বিষয়টি অনুধাবন করা অত্যন্ত জরুরি। মাত্র আড়াই লক্ষ টাকার এককালীন বিনিয়োগও আপনাকে ভবিষ্যতে বড় সম্পদ এনে দিতে পারে, যদি আপনি সঠিক সময়ের অপেক্ষা করতে জানেন।

সময়ের মূল্য ও কম্পাউন্ডিংয়ের জাদু

বিনিয়োগের দুনিয়ায় একটি কথা খুব প্রচলিত— “Time in the market beats timing the market”। অর্থাৎ, বাজার কখন উঠবে বা নামবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে, দীর্ঘমেয়াদে টাকা বিনিয়োগ করে রাখলে লাভের সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাত্র ৫ বছর অতিরিক্ত সময় দিলে আপনার লাভের অঙ্ক দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে। এখানেই কম্পাউন্ডিং তার আসল জাদু দেখায়।

ধরা যাক, আপনি এককালীন ২,৫০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করলেন। যদি আপনি স্বল্প মেয়াদে অর্থাৎ অল্প কিছুদিনের জন্য এই টাকা রাখেন, তবে কম্পাউন্ডিংয়ের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। কিন্তু যদি আপনার লক্ষ্য ২০৩৫ সাল পর্যন্ত স্থির থাকে, তবে মুদ্রাস্ফীতিকে হারিয়ে বিশাল সম্পদ গড়ার সুযোগ থাকবে আপনার হাতে।

একটি সহজ হিসাবের উদাহরণ

ধরা যাক, মিউচুয়াল ফান্ড থেকে আপনি বার্ষিক ১২% রিটার্ন পাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে ৫ বছর এবং ১০ বছরের পার্থক্যে টাকার অঙ্ক কীভাবে বাড়ে দেখুন:

বিনিয়োগের ধরন সময়কাল রিটার্নের প্রভাব (১২% হারে)
স্বল্প মেয়াদী ৫ বছর স্বাভাবিক বৃদ্ধি, কম্পাউন্ডিংয়ের প্রভাব কম।
দীর্ঘ মেয়াদী ১০ বছর বা ২০৩৫ পর্যন্ত লাভের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ বা তার বেশি।

(দ্রষ্টব্য: উপরের ছকটি শুধুমাত্র বোঝানোর উদ্দেশ্যে একটি কাল্পনিক হিসাবের ভিত্তিতে তৈরি।)

ধৈর্যের ফল মিষ্টি হয়

২.৫০ লক্ষ টাকার মতো ছোট অঙ্কও যদি দীর্ঘ সময় ধরে (যেমন ২০৩৫ সাল পর্যন্ত) বিনিয়োগ করে রাখা যায়, তবে তা ভবিষ্যতে বড় মূলধনে পরিণত হতে পারে। স্বল্প মেয়াদে টাকার প্রয়োজন না থাকলে, সেই টাকা তুলে না নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। এর ফলে আপনি শুধু মুদ্রাস্ফীতিকেই হারাবেন না, বরং নিজের আর্থিক নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করতে পারবেন। এর পাশাপাশি এসআইপি (SIP), সোনা বা রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগের মাধ্যমে পোর্টফোলিও বৈচিত্র্যময় করা যেতে পারে।

দাবিত্যাগ: মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ বাজারগত ঝুঁকির সাপেক্ষ। বিনিয়োগ করার আগে সমস্ত নথিপত্র ভালো করে পড়ে নিন। এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে, কোনও আর্থিক পরামর্শ নয়।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন