উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ নিছক কৌতূহলের বশে বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে চেপে বসেছিল বছর দশেকের আফগান শিশু। ভেবেছিল ওইভাবেই তেহরান পৌঁছে যাবে। কিন্তু বিধিবাম। তেহরান নয়, বিনা টিকিট এবং পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছে সে। কেএএম এয়ারলাইন্সের বিমানে চেপে রবিবার ওই শিশুর আগমনকে কেন্দ্র করে হুলুস্থুল পড়ে যায় দিল্লির(New Delhi) ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। দিনের শেষে অবশ্য সেই বিমানে করেই তাকে কাবুল ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। তবে ৩৫,০০০-৬০,০০০ ফুট উচ্চতায় ওড়া বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে চেপে কীভাবে একটি শিশু এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে এল তা নিয়ে আলোচনা চলছে নানা মহলে।
বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে চাপার ঘটনা বিরল না হলেও খুবই কম ঘটে থাকে। আরও বিরল হল ওই অবস্থায় মাঝ আকাশে বাতাসের চাপ, অক্সিজেনের অভাব, হাইপোথার্মিয়া, উচ্চতাজনিত সমস্যা সহ নানা শারীরিক প্রতিক্রিয়া সহ্য করে বেঁচে থাকা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ ধরনের সওয়ারিদের প্রাণ নিয়ে টানাটানি পড়ে। কিন্তু একটি শিশুর এভাবে ল্যান্ডিং গিয়ারে চাপা এবং বেঁচে যাওয়া বিরলের মধ্যে বিরলতম।
দিল্লি(New Delhi) বিমানবন্দরের সূত্র জানিয়েছে, বিমানের বাইরে ওই অবস্থায় দু-ঘণ্টা ছিল শিশুটি। বিমানবন্দরের সংরক্ষিত এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখে বিমানকর্মীরা তাকে সিআইএসএফ-র হাতে তুলে দেন। সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের সঙ্গে যোগ না থাকার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর শিশুটিকে কাবুলগামী সেই বিমানেই তুলে দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছে ১৯৯৬-এর ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পঞ্জাবের বাসিন্দা ২ ভাইয়ের বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে চেপে ব্রিটেনে পালানোর কথা।
এক শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কারণে গোয়েন্দাদের আতশকাচের নীচে ছিল দু-ভাই প্রদীপ সাইনি (২০) ও বিজয় সাইনি (১৯)। গোয়েন্দা-পুলিশের নজর এড়িয়ে দিল্লি থেকে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে উঠে পড়েছিল দু’জনে। কিন্তু ১০ ঘণ্টার যাত্রাপথে হাইপোথার্মিয়ায় মৃত্যু হয়েছিল বিজয়ের। আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে যায় প্রদীপ। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর এখন ব্রিটেনেই থাকে সে। কাজ করে হিথরো বিমানবন্দরে। সেই স্মৃতিই আবার ফিরে এসেছে ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মীদের আলোচনায়।
New Delhi | ফিরল ৩ দশক আগের স্মৃতি! বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে চেপে দিল্লিতে শিশু
Published on:

