উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ মানবশরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কীভাবে নিজেদেরই সুস্থ কোষগুলির ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকে, সেই মৌলিক রহস্য উন্মোচনের জন্য এবছর চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হলেন দুই মার্কিন বিজ্ঞানী মেরি ব্রানকো ও ফ্রেড র্যামসডেল এবং জাপানের গবেষক শিমোন সাকাগুচি। সোমবার সুইডিশ অ্যাকাডেমি এই বছরের প্রথম নোবেল প্রাপকদের নাম ঘোষণা করেছে। তাঁদের এই আবিষ্কার অটোইমিউন রোগ এবং ক্যান্সারের চিকিৎসায় নতুন ও যুগান্তকারী পথের সন্ধান দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই তিন বিজ্ঞানীর গবেষণার মূল বিষয়বস্তু ছিল ‘পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স’, যা শরীরের অভ্যন্তরীন সহনশীলতা রক্ষার একটি জটিল প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে যে, আমাদের ইমিউন সিস্টেম (Immune System) বাইরের জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করার সময় যেন ভুলবশত শরীরের নিজস্ব টিস্যুকে আক্রমণ না করে বসে।
নোবেল কমিটির সদস্য ওলি কাম্পে গবেষণার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে বলেন, “আমাদের শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং তার কার্যকলাপ বোঝার জন্য তাঁদের গবেষণা ও আবিষ্কার বড় সিদ্ধান্তের পথ দেখাতে পারে। কীভাবে বাইরের কোনও বিষাক্ত জীবাণুর সঙ্গে আমরা লড়তে পারি, তা বুঝতে সুবিধা হবে। একইসঙ্গে বোঝা যাবে আমরা প্রত্যেকে কেন একইরকম প্রতিরোধ ক্ষমতার অধিকারী নই।” গবেষকরা তাঁদের গবেষণায় বিশেষভাবে দেখিয়েছেন, ‘টি সেল’ নামক শ্বেত রক্তকণিকার একটি শ্রেণী কীভাবে এই প্রতিরক্ষা প্রক্রিয়ায় ভারসাম্য রক্ষা করে। উল্লেখ্য, চিকিৎসাবিজ্ঞানে পুরস্কার ঘোষণার পর আগামী ১৩ অক্টোবরের মধ্যে পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা, সাহিত্য, অর্থনীতি ও শান্তিতে এই বছরের অন্যান্য নোবেল পুরস্কারগুলি ঘোষণা করা হবে।