কেন্দ্র সরকারের ন্যাশনাল স্কলারশিপ প্রোগ্রাম (NSP Scholarship 2025) মেধাবী এবং আর্থিকভাবে দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ নিয়ে এসেছে। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে স্কুল ও কলেজের পড়ুয়ারা ১০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন। ন্যাশনাল স্কলারশিপ পোর্টাল (NSP) এর মাধ্যমে এই বৃত্তির জন্য আবেদন করা যায়। এটি কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি উদ্যোগ, যা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। আবেদন প্রক্রিয়া, যোগ্যতা এবং প্রয়োজনীয় নথি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই প্রতিবেদনটি পড়ুন। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য এখনই প্রস্তুতি নিন!
NSP Scholarship 2025 details
ন্যাশনাল স্কলারশিপ প্রোগ্রাম হলো ভারত সরকারের একটি উদ্যোগ, যা শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। এটি মূলত তিনটি বিভাগে বিভক্ত:
- প্রি-ম্যাট্রিক স্কলারশিপ
- পোস্ট-ম্যাট্রিক স্কলারশিপ
- মেরিট স্কলারশিপ
প্রি-ম্যাট্রিক স্কলারশিপ স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য, পোস্ট-ম্যাট্রিক উচ্চমাধ্যমিকের পরবর্তী শিক্ষার জন্য এবং মেরিট স্কলারশিপ কলেজ ও পেশাদার কোর্সের জন্য প্রযোজ্য। এই বৃত্তি শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি, বই এবং অন্যান্য শিক্ষা সংক্রান্ত খরচ মেটাতে সহায়তা করে। বিশেষ করে, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী। ২০২৫ সালে এই প্রোগ্রামের আবেদন প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হয়েছে।
ন্যাশনাল স্কলারশিপ প্রোগ্রামে বৃত্তির পরিমাণ
ন্যাশনাল স্কলারশিপে (NSP Scholarship 2025) আর্থিক সহায়তার পরিমাণ শিক্ষার্থীর শিক্ষাস্তর এবং কোর্সের ধরনের ওপর নির্ভর করে। স্কুল পড়ুয়ারা প্রি-ম্যাট্রিক স্কলারশিপের আওতায় বছরে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন। কলেজ বা পেশাদার কোর্সের শিক্ষার্থীরা পোস্ট-ম্যাট্রিক বা মেরিট স্কলারশিপের মাধ্যমে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত সহায়তা পান। এই অর্থ সরাসরি শিক্ষার্থীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয়। এটি শিক্ষার্থীদের আর্থিক চাপ কমিয়ে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ দেয়। এই স্কলারশিপ উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কারা আবেদন করতে পারবেন?
ন্যাশনাল স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই ভারতের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে। তাদের স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, যেমন স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে হবে। পরিবারের বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকার নিচে হতে হবে। শেষ পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫০% নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক। এই শর্তগুলো পূরণ করলে যেকোনো মেধাবী শিক্ষার্থী এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
আবেদনের সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি জমা দিতে হবে। শিক্ষার্থীর শেষ পরীক্ষার মার্কশিটের স্ক্যান কপি প্রয়োজন। পরিবারের আয়ের প্রমাণ হিসেবে ইনকাম সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। আধার কার্ডের কপি এবং একটি সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি আপলোড করতে হবে। নথিগুলো সঠিকভাবে স্ক্যান করে অনলাইনে জমা দিতে হবে। ভুল তথ্য দেওয়া হলে আবেদন বাতিল হতে পারে।
আবেদন করুন এখানে
কীভাবে আবেদন করবেন?
ন্যাশনাল স্কলারশিপের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক। আবেদনকারীদের ন্যাশনাল স্কলারশিপ পোর্টালে (National Scholarship Portal) গিয়ে নিবন্ধন বা রেজিস্টার করতে হবে। OTR (One Time Registration) এবং আধার অথেন্টিকেশনের মাধ্যমে আবেদন সম্পন্ন করা যায়। আবেদন জমা দেওয়ার পর পোর্টালে লগ-ইন করে স্ট্যাটাস চেক করা যাবে। আবেদন প্রক্রিয়া সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চলে। সময়সীমা মিস না করতে নিয়মিত পোর্টালে চোখ রাখুন।
আবেদনের সময়সীমা ও টিপস
কেন্দ্র সরকারের এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। সেসন শুরু হওয়ার সাধারণত ছয় মাসের মধ্যে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। আগের বছর স্কলারশিপ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ফের স্কলারশিপ রিনিউয়াল করতে হবে। সঠিক তথ্য ও নথি জমা দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সময়মতো আবেদন করলে স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। এই সুযোগ গ্রহণ করে আপনার শিক্ষার পথকে আরও সহজ করুন। এই বিষয়ে আরও তথ্য পেতে বা স্কলারশিপ সমন্ধে জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আরও পড়ুন, ছাত্র ছাত্রী ও যুবক যুবতীদের টাকা দিচ্ছে সরকার। বিস্তারিত দেখুন।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQs)
১. রাজ্য সরকারের স্কলারশিপ পেলে কি NSP Scholarship এ আবেদন করা যাবে?
না, একই শিক্ষাবর্ষে রাজ্য সরকারের স্কলারশিপ পেলে NSP-তে আবেদন করা যায় না।
২. ন্যাশনাল স্কলারশিপ কি প্রতি বছর দেওয়া হয়?
হ্যাঁ, প্রতি শিক্ষাবর্ষে একবার এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করা যায়।
৩. আগের বছর স্কলারশিপ পেলে কি আবার আবেদন করতে হবে?
না, আগের বছর স্কলারশিপ পাওয়া শিক্ষার্থীদের শুধু রিনিউয়াল করতে হবে।